জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ-সবটাই জানা আছে তাঁর। আর স্ত্রীর জন্য তো সবকিছু করতে পারেন বাদশা।হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের। রুপোলি পর্দার এই সুপারস্টার লকডাউনে নিজের হাতে রান্না করে খাইয়েছেন গৌরী সহ গোটা পরিবারকে। এই রহস্য এবার ফাঁস করলেন শাহরুখের ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার পত্নী। গৌরী জানান করোনার জেরে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার দিতেও একটা সময় ভয় পাচ্ছিলেন তাঁরা। এই অবস্থায় ঠিক যেন রিয়েল লাইফেও ‘মেয় হু না’র স্টাইলে শাহরুখ গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এবং লকডাউন জুরে পরিবারের জন্য একের পর সুস্বাদু খাবার রান্না করেছেন তিনি। মার্চ মাসে লকডাউন শুরুর আগেই মার্কিন মুলুক থেকে দেশে ফিরে আসেন শাহরুখ-গৌরীর বড় ছেলে আরিয়ান ও মেয়ে সুহানা। এরপর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে মন্নতেই দিন কাটছে শাহরুখ-গৌরীর।‘লকডাউনের সময় আমরা প্রথমদিকটাতে তো বাইরের খাবার অর্ডার দিতেও ভয় পাচ্ছিলাম। তাই ‘ঘর কা খানা’ তৈরি করছিল শাহরুখ নিজে এবং আমরা সবাই মিলে সেই খাবার এনজয় করেছি। ও ভালোবাসে রান্না করতে, আর আমি খেতেই বেশি ভালোবাসি’,এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বললেন গৌরী। নিজের ছেলেমেয়েদের নিয়েও মন খুলে কথা বললেন গৌরী। তিনি জানান- আরিয়ান আপতত সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যায় কোর্স শেষ করেছে। তাই সারাদিন বাড়ি বসে বিশ্বের নানান প্রান্তের ছবি দেখে চলেছে সে। উল্লেখ্য, শাহরুখ-গৌরীর সাধের মন্নতেই রয়েছে আস্ত একটা সিনেমা হল। অন্যদিকে সুহানা নিজের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত। আর আব্রাহাম স্কুলে ফিরেছে। গৌর যোগ করেন- ‘এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। খুব নতুন। এটা শুরুর দিকে বাচ্চাদের জন্য খুব কঠিন ছিল..এই বয়সে। তবে ও খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। আমরা সবাই একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাচ্ছি’।লকডাউন চলাকালীন বাড়ি বসেই বিজ্ঞাপনী শ্যুট সারতে দেখা গিয়েছে শাহরুখকে। মন্নতের ব্যালকনিতে পাপারাতজিদের ক্যামেরায় বন্দিও হয়েছেন বাদশা। অন্যদিকে করোনা সংকটে অর্থ সংগ্রেহর জন্য আয়োজিত আইফরইন্ডিয়ার কনাসার্টেও আব্রাহামকে নিয়ে যোগ দেন শাহরুখ। বক্স অফিসে কিং খানকে শেষ দেখা গিয়েছএ ২০১৮-য় মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে জিরোতে। এই ছবির বক্স অফিস ব্যর্থতার পর থেকে নতুন কোনও ছবির ঘোষণা সারেননি শাহরু খান। যদিও সূত্রের খবর যশ রাজ ফিল্মসের পাঠান এবং তামিল পরিচালক আটলির পরবর্তী ছবি সানকিতেও থাকছেন শাহরুখ। যেখানে বাদশার বিপরীতে দেখা যাবে তাঁর চেন্নাই এক্সপ্রেস কোস্টার দীপিকা পাড়ুকোনকে।