ঋতুপর্ণ ঘোষের কথা উঠলে একাধিক জাতীয় পুরস্কার, দুর্দান্ত 🉐কাজ ইত্যাদির পাশাপাশি আরও একটা জিনিস মনে পড়ে। কী? বাড়িওয়ালি ছবির বিতর্ক।
বালিওয়ালি ছবিটি যখন জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় তখন থেকেই এই বিতর্কের সূত্রপাত। এই ছবির জন্য কিরণ খের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন পরবর্তীকালে❀। কিন্তু যখন তাঁর নাম প্রথম উঠে আসে তখন জানা যায় এই ছবি ডাবিং নাকি করেননি তিনি। আর কমিটির মত ছিল যিনি ডাব করেননি, চরিত্রের জন্য গলাই দেননি তিনি তো তাঁর অভিনয়ের ৫০ শতাংশ করেননি।
রিতা কয়রাল যখন একদিকে দাবি করেন তিনিই এই ছবির জন্য ডাবিং করেন তখন অন্যদিকে অনুপম খের বলেন যে না, কিরণই এই ছবির জন্য ডাবিং করেছেন। ফলে দু রকমের একটা কথা চলতেই থা🤪কে।
অব💛শেষে ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণবার্ষিকীতে এই প্রসঙ্গে স্মরণ করে তারাদের শেষ তর্পণ সিরিজে সুদেষ্ণা রায় বলেন, 'কিরণের অংশটার পুরোটা কলকাতায় ডাব করে একটা গাইড ট্র্যাক করে তাঁকে মুম্বইতে পাঠানো হয🍌়েছিল। ঠিক হয়েছিল সেটা শুনেই কিরণ সেখানে বসে তাঁর অংশ ডাব করবেন। অন্যদিকে রিতাকে (রিতা কয়রাল) দিয়েও কলকাতাতে ডাবিং করানো হয়।' তাঁর কথায় গোটা বিষয়টাই যেন বেশ স্পষ্ট হয়।
যদিও বন্ধুর নামে এ হেন অভিযোগ শুনে বেজায় ক্ষেপে গিয়েছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য। তাঁদের বহুদিন কথা বলা বন্ধ পর্যন্ত থাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত ঋতুপর্ণ ঘোষ নাকি তাঁর কাছে স্বীকার করেছিলেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, 'আমার খুব রাগ হয়। যাঁর কাছে এতগুলো জাতীয় পুরস্কার তাঁর এমনটা করার কী ছিল? এটা নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়। পরে ঋতু জানায় ꦅকিরণ ডাবিং করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যে বদল হয়েছিল সেটা ও জা🍃নতো না। এসেট হলে মানা সম্ভব ছিল না।'
প্রসঙ্গত, এই ছবির জন্য সুদীপ্তা চক্রবর্তীও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি সেরা সহ অভিনেত্রীর জন্🐓য সেই পুরস্কার পান।