শেষবেলায় কিছুটাꦓ সুস্থ হয়েছিলেন, তবে শেষরক্ষা হল না। চিরকালের জন্য সকলের থেকে বিদায় নিলেন ‘মহাভারত’-এর 'মামাশ্রী' শকুনি। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান অভিনেতার গুফি পেইন্টালের। এদিন সন্ধেয় আন্ধেরির এক শশ্মানে অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। ছিলেন তাঁর অভিনেতা ভাই কানওয়ারজিৎ পেইন্টাল এবং ছেলে হ্যারি পেইন্টাল। ছিলেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ঘনিষ্ঠরাও।
সোশ্যালে উঠে আসা ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা যায়, গুফি পেইন্টালকে বিদায় জানানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর ভাই। ভাইপো হিতেন পেইন্টালকেও কাঁদত💜ে দেখা যায়। জানা যাচ্ছে এদিন জনপ্রিꦛয় এই অভিনেতাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয়।
এদিন সকালে ভাইপো হিতেন পেইন্টাল গুফি পেইন্টালের মৃত্য়ুর খবর জানিয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, উনি আর নেই। আজ (সোমবার) সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালেই তিনি শেষ নিঃশꦓ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
প্রয়াত মহাভারতের꧂ ꧂শকুনি মামা, ৭৯ বছর বয়সে জীবনাবসান গুফি পেন্টালের
আরও পড়ুন-নওয়াজের সঙ্গে 🎉বিচ্ছেদ পাক্কা, তার আগেই নতুন প্রেমিকꦕ খুঁজে নিয়েছেন 'বেগম' আলিয়া, কে ইনি?
প্রসঙ্গত, বহু জনপ্রিয় টিভি শোয়ে অভিনয় করেছেন গুফি পেইন্টাল। ‘বাহাদুর শাহ জাফর’, ‘মহাভারত’, ‘কানুন’, ‘ওম নমঃ শিবায়’, ‘সিআইড🅺ি’, ‘ইশস কোই হ্যায়’, ‘দ্বারকাধীশ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ’, ‘রাধাকৃষ্ণ’ এবং ‘জয় কানাইয়া লাল কি’ সহ আরও বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন গুফি। ত🎃বে বি আর চোপড়ার মহাভারতের 'শকুনি মামা' হিসাবেই তাঁকে সবথেকে বেশি মানুষ চেনেন।
১৯৪৪ সালে জন্ম হয় সর্বজিৎ পেন্টাল ওরফে গুফি পেন্টালের। অভিনয় জগত তাঁকে চেনে গ💃ুফি নামেই। একসময় ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়কেই নেশা আর পেশা বান🍃িয়েছিলেন গুফি। ছেড়েছিলেন টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভের লোভনীয় চাকরি । মঞ্চ থেকে বড় পর্দা সবজায়গাতেই তিনি দক্ষ অভিনেতার পরিচয় দিয়েছেন। পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে বহু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করেন। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী অভিনীত ‘দিল্লগি'-ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। ‘দেশ পরদেশ’, ‘সুহাগ’ এবং ‘সম্রাট অ্যান্ড কোং’-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন গুফি।