ඣ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা ছিল পরিবারে। সেই পরিবেশেই বেড়ে ওঠেন গায়িকা হৈমন্তী শুক্লা। ১৯৭২ সালে তার প্রথম রেকর্ড করা গানটি ছিল ‘এতো কান্না নয় আমার’। বাংলা রাগপ্রধান থেকে নজরুলগীতি, হৈমন্তী শুক্লার কণ্ঠ মন ছুঁয়ে যায় আট থেকে আশির। সম্প্রতি বর্ষীয়ান গায়িকাকে দেখা গেল দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডায় উঠে এল তাঁর সংসার না পাতার গল্প!
ཧসদা হাস্যোজ্জ্বল আন্তরিক চেহারা তাঁর। মুখের দিকে তাকালেই মনে ভরে যায় শান্তি। কপালে বড় লাল টিপ, বেশিরভাগ সময়ই মোটা পাড়ের সাদা বা অফ হোটাইট শাড়ি। গান নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। পাতেননি সংসার। যদিও ছাত্রছাত্রীরা মায়ের ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখেন তাঁকে। সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসেও তাঁকে এই নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
আরও পড়ুন: ꩵ‘সচারচর তো…’! সৃজলা অতীত, রোহনের মনের মানুষ অঙ্গনাই? মুখ খুললেন তুমি আশেপাশে থাকলে-র দেব
🍨হৈমন্তী জানালেন, গান ছাড়া কোনও কিছুই তাঁর মনে আসে না। তাঁর কাছে বেঁচে থাকার রসদই সংগীত। গায়িকা জানালেন, ‘গান ছাড়া আমার কোনও কিছুই ভালো লাগে না। এই যে সংসারী হইনি, তোমরা সবাই জিজ্ঞাসা করতে পারো। আসলে এই গানটার সঙ্গেই আমার গভীর প্রেম। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে আমাকে।’
💧হৈমন্তীর এই কথায়, রচনা প্রশ্ন করেন, ‘গান নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলে যে সংসার বাঁধলে না?’ গায়িকা এই প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘ওইটার কথা না কখনও মাথাতেও আসেনি যে, গানই করলাম সংসার করলাম না। আমার স্বামী-সন্তান বা ছেলেপুলে হল না এভাবে ভাবিনি। আমার কত যে ছেলেপুলে। কত লোক যে আমাকে মা বলে ডাকে।’
আরও পড়ুন:🥂 ‘মানুষটা কুকুর হয়ে গেল…’, রিসেপশনে মিডিয়া-ড্রাইভার-বডিগার্ড বাদ লেখা নিয়ে বিতর্ক, জবাব শ্রীময়ীর
🌃রচনার ফের প্রশ্ন, ‘জীবনে কখনো প্রেম আসেনি?’ তাতে হৈমন্তী শুক্লা জানালেন, ‘হয়তো কেউ ভালোবেসেছে, আমিই বুঝতে পারিনি। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, তুমি এত প্রেমের গান গাইলে কী করে তাহলে। আমি জবাব দেই, মাইকটাই আমার প্রেমিক হয়ে যায় তখন।’
🏅তার পিতা সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত হরিহর শুক্লার কাছেই প্রথম তামিল নেওয়া। খুব ছোট থেকেই বাজাতেন তানপুরা, তখন তো ঠিক করে হাতেও আসত না এই বাদ্যযন্ত্র। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উপর বৃত্তি পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে তাকে ভূষিত করা হয় মিয়া তানসেন পুরস্কারে।
আরও পড়ুন: 💦জগদ্ধাত্রীর দিন শেষ! হঠাৎ বেঙ্গল টপার এই মেগা, টিআরপি-তে টপকে গেল ফুলকিকেও
🎶বাংলা ছাড়াও তিনি গেয়েছেন ওড়িয়া, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, আসামি ও ভোজপুরি ভাষায়। ‘আমার বলার কিছু ছিল না’, ‘এখনো সারেঙ্গিটা বাজছে’, ‘ডাকে পাখি খোলো আঁখি’, ‘ঠিকানা না রেখে’, ‘আমি অবুঝের মতো’, ‘ওগো বৃষ্টি আমার’-এর মতো গান তাঁর রয়েছে।
ꦿ১৯৮১ সালে তিনি পেয়েছেন সুর শৃঙ্গার পুরস্কার। ১৯৭৫ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে মিঞা তানসেন পুরস্কার। এছাড়াওপ্রমথেশ বড়ুয়া পুরস্কার ও কলাকার পুরস্কারও আসে তাঁর ঝুলিতে।