বলিউডের পরিচিত নাম অভিনেত্রী হনসিকা মোতওয়ানি। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন। গত বছরের শেষের দিকে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ‘কোই মিল গ্যয়া’-র ছোট্ট টিনা। ডিজনি প্লাস হটস্টারে রিয়ালিটি শো হিসাবে দেখা যাচ্ছে হনসিকার বিয়ে 'লাভ 🔜শাদি ড্রামা'। পাত্র সোহেল কাঠুরিয়া।
২০০৭ সালে হিমেশ রেশমিয়ার ‘আপ কা সুরুর’-এ এক মহিলা প্রধান চরিত্রে ডেবিউ করেছিলেন হনসিকা। সেই সময় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তার আগে অবশ্য বলিউডে শিশুশিল্পী হিসেবে একাধিক কাজ করেছেন তিনি। জনপ্রিয় টিভি শো ‘শাকা লাকা বুম বুম’-𒆙এও অভিনয় করেছেন। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রীর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে হতবাক নেটিজেনরা। অনেকেই সেই সময় মন্তব্য রেখে🌸ছিলেন, হনসিকাকে হরমোনাল ইনজেকশন দিয়েছে তাঁর মা।
আরও পড়ুন: আলতো করে স্বামীর চুল ঠিক করলেন, রণবীরকে বিমানবন্দরে নিতে এসে এ কী করলেন আলিয়া
হনসিকা সাফ জানিয়েছেন, ‘তারকা হওয়ার মূল্য তো দিতেই হয়। ২১ বছর বয়সে নানা কু-মন্তব্যের সম্মুখীন হয়েছি। বুঝতেই পারছেন কীসের কথা বলছি… আমি যদি সেই সময়টা কাটিয়ে উঠতে পারি, এই সময়ꦐটাও কাটিয়ে উঠতে পারব। লোকের ম🐽ুখে শুনতে হয়েছিল, আমার মা আমাকে নারী হিসাবে পরিণত হওয়ার জন্য ইনজেকশন দিয়েছে, হরমোনাল ইনজেকশন দিয়েছে'।
এ বিষয় অভিনেত্রীর মায়ের সাফ মন্তব্য, ‘ꦉযদি এটা সত্যি হয়, তাহলে আমি অবশ্যই টাটা, বিড়লা, কোনও কোটিপতির চেয়েও ধনী হতাম। এটা সত্যি হলে আমি বলব, আমি যখন আমার মেয়েকে দিয়েছি, তুমিও আসো, এসে নিজের হা🐬ড়গুলি বড় করো। দেখেই অবাক লাগে মানুষ এগুলি কীভাবে লেখে। ওদের মগজ বলে কোনও বস্তু আছে? আমরা পঞ্জাবি মানুষ, আমাদের মেয়েরা ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে বেশি পরিণত হয়’।
সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচিতি হনসিকার। সোহেল তাঁর বিজনেস পার্টনারও। ২০২০ সালে হনসি🥀কার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সোহেল একটি অনুষ্ঠান আয়োজনকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল সোহেলের প্রথম বিয়েতে হাজির ছিলেন হনসিকা। গত নভেম্বরে সোহেলের সঙ্গে বাগদানের ঘোষণার পর෴ থেকেই একের পর এক অভিযোগের তির উঠেছে হনসিকার দিকে।
সেইসময় লেখালিখি শুরু হয়, কেনভাবে ছেলেবেলার বান্ধবী রিঙ্কির ঘর ভেঙে তাঁর বরকে হাতিয়ে নিয়েছেন হনসিকা। সোহেল-রিঙ্কির বিয়ে ভাঙার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়ꦇ হনসিকাকে। 'ঘরভাঙানি' তকমা সেঁটে দেওয়া হয় হনসিকার নামের পাশে। হানসিকা অভিযোগগুলিকে সম্বোধন করে বলেছেন, ‘একজন সেলিব্রিটি হওয়ার মূল্য তো দিতেই হবে’।