দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ক্রিকেট তারকা মহম্মদ শামির ডিভোর্স মামলা। হাসিন জাহান স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, পরকীয়া-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন। আলিপুর কোর্টে সেই মামলা ঝুলে। শামিকে নিয়ে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্꧟যমে বিষোদগার করেন হাসিন জাহান।
বাবা হিসাবে শামি কতখানি ব্যর্থ, দায়িত্বজ্ঞানহীন সে কথা সর্বদা ফলাও করে বলেন হাসিন। একইসঙ্গে শামিকে দুশ্চরিত্র বলতেও পিছু হটেন না। এর পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে হামেশাই নাচের রিল কিংবা নিজের ফটোশ্যু🌳টের ছবি পোস্ট করে থাকেন।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে মেয়ে আইরার নাচের ভিডিয়ো ভিডিয়ো শেয়ার করেন হাসিন। এক অ্যাওয়ার্ড সেরেমানির মঞ্চে নারীশক্তির বন্দনায় মেতে উঠতে দেখা গ𒁃েল ৯ বছরের আইরাকে। সেই পোস্টেই হাসিনের জন্য উড়ে তৃতীয় বিয়ের প্রস্তাব। এক ভক্ত লেখেন, ‘ম্যাম আপনি আমাকে বিয়ে করে নিন…’। পোস্টের কমেন্ট বক্সে পালটা উত্তর দেননি হাসিন, কিন্তু এই নিয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি হতেই নড়েচড়ে বসেন শামির বিচ্ছি✃ন্না স্ত্রী।
কড়া ভাষায় তিনি লেখেন, বিয়ের আর কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর। জীবনে দু-বার শিক্ষা নিয়েছেন, সেটাই যথেষ্ট। বরং মেয়ের জন্য সুপাত্র খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর একটাই কামনা তাঁর কপালে যেমন ‘মেয়েবাজ স্বামী’ জুটেছে তাঁর মেয়ের ভাগ্য তেমনটা যেন না হয়। হাসি⛦ন লেখেন, 'আমার বিয়ের চিন্তা ভুলে যান, বরং আমার মেয়ের জন্য একটা ভদ্র, মেরুদণ্ড সোজা রাখে এমন পাত্র খুঁজে দিন আপনারা, আর দোয়া করুন আমার ভাগ্যে যেমন ম𒀰েয়েবাজ স্বামী জুটেছে তেমনটা আমার সন্তানের সঙ্গে না ঘটুক। আমি তো আল্লাহ-র কাছে প্রার্থনা করি মেয়েবাজ স্বামী কোনও মেয়ের কপালে না জুটুক'।
নিজের এই জব🐓াবের মাধ্যমেও শামিকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না হাসিন। হাসিন-শামির দাম্পত্য কলহ আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ডিভোর্স মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে। বরের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি নেই হাসিনের! দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা কারুর অজানা নয়। ইনস্টায় কখনও শামিকে নপুংসক বলে তুলোধনা করছেন হাসিন তো কখনও মেয়েবাজ তকমা সেঁটে দিচ্ছেন শামির নামের পাশে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সা🐽লে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন দুজনে। তাঁদের একমাত্র মেয়ে আইরার জন্ম হয় ২০১৫ সালে।
মায়ের কাছেই থাকে মেয়ে। মাস কয়েক আগে দীর্ঘ ৬ বছর পর মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় শামির। ভিডিয়োতে ইমোশ্যানাল হতে দেখা গিয়েছিল ক্রি🧜কেট তারকাকে। শামির টিম ইন্ডিয়ায় ফেরার জল্পনার মাঝেই তাঁকে ফের বিঁধলেন হাসিন।