হেরিটেজ নাকি হেরিটেজ নয়? বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে হাতিবাগানের উত্তরা সিনেমা হল। হেরিটেজ কমিশন এবং কলকাতা পুরসভার মধ্যে এই নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। সিনেমা হলের বর্তমান মালিক গত সপ্তাহে পুরসভার কাছে হলটি পুর হেরিটেজ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য হেরিটেজ কমিশন তাঁকে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট হলটি হেরিটেজ নয়।যদিও এবিষয় পুরসভা পালটা জানিয়েছে, পুরসভার হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট হলটি। বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে উত্তরা সিনেমা হলের বর্তমান মালিক জন ম্যান্টোস জানিয়েছেন, হলের জায়গায় মাল্টিপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। শপিং মলের সঙ্গে তিনটি সিনেমা স্ক্রিন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও পুরসভা ও কমিশনের ভিন্ন বক্তব্যের কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না জানিয়েছেন তিনি।উত্তরা সিনেমা হলের বর্তমান মালিক জন ম্যান্টোসের কথায়, ‘রাজ্য হেরিটেজ কমিশন আমাকে জানিয়েছে, উত্তরা হেরিটেজ তালিকাভুক্ত নয়। আবার কলকাতা পুরসভা বলছে, এটি হেরিটেজ!' এবিষয় রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘ওই হলটি আমাদের হেরিটেজের তালিকায় নেই।’ অন্যদিকে পুরসভার এক কর্তার জানিয়েছেন, ‘উত্তরা হেরিটেজ আমাদের তালিকায় রয়েছে। এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই।’বহু বছর ধরে বন্ধ উত্তরা সিনেমা হল। একসময় সিঙ্গের স্ক্রিনের হাত ধরে হলে বসে সিনেমা দেখার প্রচলন শুরু হয়। শহরে সিনেমাদর্শনের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা কি কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না? সবই কি আধুনিকতার মোড়কে চাপা পড়ে যাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।