বুধবার বাংলা সঙ্গীত মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিলোত্তমার শীতে অন্যতম আকর্ষণ গান মেলা। এই বছরও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। এদিন নজরুল মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সঙ্গীত মেলার শুভ সূচনা করলেন বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন কুমার শানু, রাশিদ খান, অভিজিৎ ভট্টাচার্য সহ সঙ্গীত জগতের রথী মহারথীরা। হাজির ছিলেন কবীর সুমন, হৈমন্তী শুক্লা, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীরা। গান মেলার পাশাপাশি এবছর ৫ই ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববাংলা লোক সংস্কৃতি উৎসব। এদিন সঙ্গীত সম্মান পেলেন, উস্তাদ আশিশ খান, ডঃ শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, বিভা সেনগুপ্ত, সোমলতা আচার্য, রঞ্জন প্রসাদ সহ বিশিষ্টজনেরা।এদিন 'সঙ্গীত মহাসম্মান' তুলে দেওয়া হল চারজন শিল্পীর হাতে, গৌতম ঘোষ, পরীক্ষিত বালা, জয়া বিশ্বাস এবং কৌশিকি চক্রবর্তী । পাশাপাশি 'বিশেষ সঙ্গীত মহাসম্মান' পেলেন জিত গঙ্গোপাধ্যায়, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, কুমার শানু এবং উষা উত্থুপ ।এদিনের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড়ো চমক ছিল একই মঞ্চে রাশিদ খান, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী এবং কৌশিকি চক্রবর্তীর যুগলবন্দি । পাশাপাশি মঞ্চে গান গাইতে শোনা গেল প্রবীণ শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও। এবছর বাংলা সঙ্গীতমেলায় বিশেষ প্রদর্শনী থাকছে কিংবদন্তী শিল্পী মান্না দেকে নিয়ে। এই বছর তাঁর জন্ম শতবর্ষ। ৫ ডিসেম্বর থেকে গগণেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় মান্না দে’কে নিয়ে শুরু হবে সাতদিনব্যাপী প্রদর্শনী- ‘সে নাম রয়ে যাবে’। যেখানে ধরা পড়বে মান্না দের জীবনের কথা, তাঁর গান এবং মান্না দে সম্পর্কে লেখা নানান বইয়ের অংশ। ১৯৯৬ সালে শুরু সঙ্গীত মেলার। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নতুন প্রাণ পেয়েছে এই উৎসব। এবছরও শহর জুড়ে চলবে অনুষ্ঠান। সঙ্গীতমেলা অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ,মোহর কুঞ্জ, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মঞ্চ, একতারা মুক্ত মঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক,রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাদেমি মুক্ত মঞ্চের মতো জায়গায়। আগামী আটদিন এই সমস্ত ভেন্যুতে পারফর্ম করবেন গোটা দেশের সঙ্গীত শিল্পীরা।