তিনি মন্দিরা বেদী, তাঁর ফিটনেস, ছিপছিপে সুন্দর চেহারা দেখে অনেকেই তাঁকে সমীহ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই অনুপ্রেরণামূলক ওয়ার্ক আউট ভিডিও পোস্ট করেন মন্দিরা। তবে ৬ মে, সোমবার সকালে হঠাৎই সেই মন্দিরাকেই এভাবে এত্ত খাবার গপ গপিয়ে খেতে দেখে অনেকেই হতবাক। চাউমিন, পাস্তা সহ নানান মশালাদার খাবারই খেতে দেখা গিয়েছে মন্দিরাকে। অনেকেরই তাই প্রশ্ন, যিনি কিনা সবসময় স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন, তিনি নিজে এসব কীꦺ খাচ্ছেন!
যাঁরা এসব ভাবছ♔েন, তাঁদের অনেকেরই হয়ত মনে নেই, আজ আন্তর্জাতিক নো ডায়েট ডে (International No Diet Day)। আর সেকারণে আজ তিনি কোনও রকম ডায়েট না মেনে নিজের পছন্দের খাবার খেয়ে মন ভরাচ্ছেন মন্দিরা। যাতে একদিন মশালাদার খাবার উপভোগ করে বাকি দিনগুলিতে ডায়েট করার জন্য উৎসাহ খুঁজে পাওয়া যায়।
মন্দিরা বেদীর কথায়, ‘ফিটনেসের ক্ষেত্রে একটা বিষয় হল আমরা যতই বলি আমি জিমে যাচ্ছি, তারপরেও আপনি যে পরিমাণ খাবার খাবেন, সেটাকে হারাতে পারবেন না। এক্ষেত্রে তাই সর্বদা একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ৭০ শতাংশ খাবা𝔍র, ৩০ শ💮তাংশ শরীরচর্চা। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, আপনি ধীরে ধীরে এই সমীকরণটিতে বদলাতে পারবেন। আমি যদি নিয়মিত জিমেও যান, ফিরে যদি ভাজা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খান,তাহলেও সেভাবে কোনও লাভ হবে না।’
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডায়েট রয়েছে, সেবিষয়ে মন্দিরা বেদী বলেন, ‘প্রচুর ডায়েট রয়েছে, আমি সেগুলি চেষ্টা করেছি। আমি কেটো ডায়েটও করেছি। আমার মতে, এমন🌸 কিছু ডায়েট করা ভালো, যাতে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটও থাকবে, যেটা আপনাকে সারাদিন চালনা করতে সাহায্য করবে। আবার অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়াও ঠিক নয়, সেটা ধমনীর পক্ষে ভাল নয়। আবার শরীরচর্চাও প্রয়োজন, এটা থামালেই আবারও ওজন বাড়তে শুরু করবে।’
মন্দিরা বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেছি। এক অর্থে এটা খুব ভাল কাজ করে। যখন আপনি কয়েক ঘন্টা না খেয়ে থাকেন, আপনার শরীরকে অনাহারে রাখেন, তখন আপনার শরীর অনাহারের থাকার মতো করেই চলে। তখন আপনার বার্ধক্যজনিত চর্বি, খারাপ চর্বির কোষগুলির মৃত্যু হয়। তবে কোনও ডায়েটই দীর্ঘ সময়ের জন্য করতে পারব🧸েন না। তাতে আপনার বিপাকের সমস্যা হতে পারে। আমি এটা এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা আমার বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিয়েছে। তাই সাবধানে সবকিছু করতে হবে।
মন্দিরার কথায়, সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে গেলে, ছুটির দিনে তাই পছন্দের খাবারও খেতে হবে, তাতে সবকিছুর মধ্যেই ভারসাম্য থাকবে। মন্দিরার ‘আমি যেমন এখন ছুটিতে আছি তাই সবকিছু মন ভরে খাব। আবার যখন আমি ফিরে আসব, তখন আবার আমি আমার রুটিনে ফিরে যাব। আমি ছুটিতে আছি তাই এখন আমি আইসক্রিম, পাস্তা সহ নানান কিছু খাচ্ছি। আবার আমি মুম্বইতে ফি🌺রলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করব এবং পুরনো ট্র্যাকে ফিরে আসব। দিনের শেষে, ওজন হ্রাস কেবল ক্যালোরি ঘাটতির মাধ্যমেই ঘটে। তবেই এই সমীকরণটাই কাজ করে।’