সোশ্যাল মিডিয়ার অতি পিরিচিত নাম প্রেরণা দাস। বাংলার এই সমাজ মাধ্যম প্রভাবীর রিল ভিডিয়ো লাখ লাখ ভিউ পার করে নিমেষে। ইনস্টায় তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই, ফেসবুকেও তুমুল জনপ্রিয় এই বং বিউটি। কিন্তু আচমকাই নেটপাড়ার রোষের মুখে এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। নেপথ্যের কারণ আইপিএল।
রবিবার ইডেনের হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাংলা কমেন্ট্রি বক্সে দেখা মিলেছে সুন্দরী প্রেরণা দাসের। কেকেআর-আরসিবি ম্যাচ নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক থামছে না, তার মাঝে বিতর্কের নয়া রসদ প্রেরণার কমেন্ট্রি 🅘বক্সে উপস্থিতি। অভিনেতা তথা সঞ্চালক অনিন্দ্যর পাশে বসে ক্রিকেট কমেন্ট্রি দিচ্ছেন প্রেরণা। সেই স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও আপলোড করেন সমাজ মাধ্যম প্রভাবী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘খেলা দেখছো তো সবাই? আমাকে লাইভ দেখুন…’।
কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘দিদি তো ক্রিকেট বোঝেনই না, কী করছেন ওখানে?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বাংলা কমেন্ট্রির জন্যই তো বাংলা চ্যানেলে খেলা দেখা যায় না’। অপর ဣএক নেটিজেন লেখেন, ‘সবাইকে সব জায়গায় মানায় না’। ট্রোলিং নিয়ে মুখে কুলুপ প্রেরণার। তবে তাঁর হয়ে সওয়াল করলেন অরিত্র দত্ত বণিক।
অভিনেতা তথা মিডিয়া কনস্যালট্যান্ট অরিত্র লেখেন, 'প্রেরণা একজন সোশ্যাল মিডিয়া কন্🐟টেন্ট ক্রিয়েটর, ক্রিকেটার নন, বিশ্লেষক নন, স্পোর্টস জার্নালিস্ট নন, ক্রীড়া ইতিহাসবিদ নন, ওনাকে কে বসিয়েছে ওই চেয়ারে? জগত সেরা খেলোয়াড়, বিশেষজ্ঞরা যে চেয়ারে স্থান পান সেখান এই সেদিনের গজিয়ে ওঠা ক্রিয়েটরদের ডাকছে কারা?
সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্নই ঘুরছে, কেউ কꦏেউ মেয়েটিকে গালাগাল করতে উঠে পড়েছে। উত্তরটা আমি দিচ্ছি, ওঁকে ওই চেয়ারে বসিয়েছে বাজার, ক্যাপিটালিজম আর ইনভেস্টরদের মুনাফা। বাজার যখন সিদ্ধান্ত নির্মাতা হবে তখন সে শুধু অংক মেলাবে, সেখানে আবেগ, শৈল্পিক চিন্তার চর্চা করার কোনও দায়বদ্ধতা নেই, প্রেরণাকে স্ক্রিনে আনার সাথে সাথে লাখ লাখ ওর ফ্যান ওর ভিডিও দেখছেন, শুনছেন তারা হয়তো আইপিএল নিয়ে ভাবিত নন, কোনোদিন খেলা দেখতেন না, কিন্তু ওর কথা শুনবেন বলে চ্যানেল খুলেছেন…'।
অরিত্র আরও লেখেন, ‘শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব যে ইনফ্লুয়েন্সা෴ররাই এখন বিনিয়োগকারীদের তুরুপের তাস,কারণ সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের থেকে বেশি ব্যবসা ওঁরাই দিচ্ছেন। প্রেরণার কাছে এই পরিস্থিতি একটু কঠিন হবে কারণ প্রথমত উনি মেয়ে বলে আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্লাটশেমড’ হতে হবে আর দ্বিতীয়ত উনি যে সময়ে বাজারে আছেন সেটা ট্রানজিশন পিরিয়ড কারণ ‘ইনফ্লুয়েন্সাররাই রাজা’ এই বাস্তবটা ভারতীয় বাজার এখনো স্বীকার করতে স্বচ্ছন্দ হয়েনি, তবে আগামী ৪-৫ বছরে হবে’।
প্রসঙ্গত, রবিবার ইডেনে আরসিবি-কে মাত্র এক রানে হারিয়ে বিতর্তিত জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। বিরাট কোহ♉িলর আউট নিয়ে নেটপাড়া যখন সোচ্চার, তার মাঝেই প্রেরণা ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদাস নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন।