ভোট নিয়ে কটা দিন বড়ই ব্যস্ত 𒁏ছিলেন রচনা বন🌃্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার মাঝেই সময় বের করে করেছেন দিদি নম্বর ১-এর শ্যুট। সম্প্রতি দিদির মঞ্চে এসেছিলেন বাবা-মেয়ের জুটি ঈশিতা ও অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেল, ঈশিতা জন্ম থেকেই দেখতে পান না একটি চোখে। তবে এই অপূর্ণতা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি কখনও। নাচে স্কলারশিপ পেয়েছেন, ছিলেন ডান্স বাংলা ডান্সের ফাইনালিস্ট আর এখন ডাক্তারি পরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দিদি নম্বর ১-এ ঈশিতার বাবা অঞ্জনবাবু জানালেন, ‘ওর জন্মগত একটা সমস্যা ছিল। একটা চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। সেটা দেখেও বোঝা যেত। ওর ৩ মাস বয়স থেকে শুরু হল আমাদের চেন্নাই যাওয়া, হায়দরাবাদ যাওয়া। সে তো একটা লড়াই ছিলই। কিন্তু দেখলাম ও যখন থেকে আয়না দেখতে শিখল, কেমন নিজেকে নিয়ে লজ্জা পেত। ওর মা আমাকে বলল, এই চোখের সমস্যা নিয়ে তো চলবেই। তার আগে ওর লজ্জা কাটাতে ওকে বাইরে বের করতে হবে। এরপর ওকে নাচ শিখতে দিলাম। তখন ওর বয়স আড়াই কি তিন বছর। প্রথমে নাচতে চাইত না। কাঁদত। ওকে ধীরে ধীরে কম্পটিশনে বসাতে শুরু করলাম। যাতে অনেক লোকের সামনে আসতে হয়। কত্থক নাচে ও ন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়েছে। আমাদের স্বপ্ন ছিল ডান্স বাংলা ডান্সে পাঠাব। প্রথমে ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য নির্বাচিত হয়। চোখের লুকটা এখন ঠিক হয়েছে হায়দরাবাদে গিয়ে। কিন্তুജ ভিশনটা এখনও আসেনি। ওর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। প্রবেশিকা পরীক্ষাও দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘কিছু সম্পর্ক থাকে…’, সত্যি কি♊ কোনওদিন প্রেম ছিল দু'জনের? জবাব প্রসেনজিৎ⛦-ঋতুপর্ণার
বাবার মুখে তাঁর মেয়ের লড়াইয়ের এমন গল্প উদ্বুদ্ধ করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ থেকে বোঝা যাচ্ছিল, ইমোশনাল হয়൩ে পড়েছেন। ঈশিতা নিজের প্রসঙ্গে আরও জানান, ‘ডান্স আমার নেশা। আর ডাক্তার হওয়া আমার স্বপ্ন। প্রথমবার ডান্স বাংলা ডান্সে গিয়ে ব্য⛄র্থ হয়েছিলাম। পরেরবার আরও প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম নাচের মঞ্চে। ফাইনালিস্ট ছিলাম। বেরিয়ে আরও নাচ নিয়ে চর্চা করি। কত্থকে CCRT Junior Scholarship পাই। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের সান্নিধ্যও পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: কানের রেড কার্পেটে প্রথম হাঁটলেন নাসিরুদ্দিন ও রত্না, ‘আমার অ♊বাস্তব মনে হচ্ছিল…’