ছবির নাম 'জানে জা'। পরিচালক সুজয় ঘোষ। কেন্দ্রীয় ভূমিকায় করিনা কাপুর খান, এটাই তাঁর OTT ডেবিউ। তাই 'জানে জা' 🌱ছবি ঘিরে বাড়তি আগ্রহ থাকবেই। আর সুজয় ঘোষের নাম এলে প্রথমেই যে ছবির কথা মনে পড়ে তা হল ‘কাহানি’। ♏‘কাহানি’র পরবর্তী সময়ে সুজয় ঘোষ যে ছবিই বানান না কেন তুলনা আসবেই…। এবার আসা যাক, 'জানে জা'-র কথায়। যেটা কিনা জাপানি লেখক কেইগো হিগাশিনোর লেখা উপন্যাস ‘দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স’ অবলম্বনে তৈরি। উপন্যাস এবং সিনেমার গল্প অবর্তিত হবে এক গোয়েন্দা এবং এক সন্দেহভাজনের মধ্যে। ছবি দেখলেই আপনার যেকথা মাথায় আসবে সেটা হল এ তো ‘ইদুঁর-বিড়াল খেলা’ চলছে।
গল্পটা ঠিক কেমন?
ছবির প্রেক্ষাপট এরাজ্য়ের ক👍ালিম্পং-। ছবিতে রয়েছেন ‘সিঙ্গল মাদার’ মায়া🤪 ডিসুজা (কারিনা কাপুর)। তিনি সংসার চালানো এবং মেয়ে তাঁর স্বামী অজিত মাত্রেকে (সৌরভ সচদেব) পছন্দ করে না। মেয়ে তারার জন্মের আগেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। গল্পে মায়ার এক প্রতিবেশীও রয়েছেন নরেন ব্যাস (জয়দীপ আহলওয়াত) যিনি কিনা হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক, মায়াকে তিনি ভালোবাসেন, যদিও সেকথা তিনি গোপনই রেখেছেন।
এরই মাঝে মায়ার স্বামী অজিত মাত্রে কালিম্পং-এ মায়ার বাড়িতে যান। মায়া ভাবেন অজিত টাকার জন্য এসেছে, যদিও অজিতের অন্য পরিকল্পনা আছে। মায়া তাই অজিতকে খুন করে এবং তাদের মেয়ে তারা মাকে সেই অপরাধে সাহায্য করে। এদিকে এই খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নরেন মায়াকে সাহায্য করেন। এররই মাঝে এন্ট্রি হয় পুলিশ ইন্সপেক্টর করণ আনন্দের (বিজয় বর্মা)। এখন প্রশ্ন ঠিক কী কারণে মায়া তাঁর স্বাম😼ীকে খুন করে? মায়া, তারা এবং নরেন কি পুলিশের হাতে ধরা পড়বে? রয়েছে আরও অনেক প্রশ্ন। তবে সেসব বলে দিনে এই থ্রিলারের আসল মজাটাই মাটি হয়ে যাবে। এর জন্য জানে জা দেখাটাই শ্রেয়।
আরও পড়ুন-‘টাবুতে মুগ্ধ, প্রেমে পড়ে গিয়েছি’, অকপট বাঁধন, হয়েছে উপহ🌜ার দেওয়া-নেꩲওয়া
আরও পড়ুন-রানের সঙ্গে ইতালিতে কোয়েল মল্লিক, ছেলে কবীর কোথায়? পꦐ্রশ্ন নেটপাড়ার
আরও পড়ুন-উস্কোখুস্কোไ চুল, একমুখ দাঁড়ি, সারা মুখে দগদগে ক্ষত! এ কেমন চেহারাꦿ দেবের…
বিশ্লেষণ
এই 'জানে জা𝓰' ছবির মধ্যে একটি গোলক ধাঁধা রয়েছে, রয়েছে ‘ইদুঁর-বিড়াল খেলা’। ছবিতে পুলিশ আধিকারিক এবং সন্দেহভাজন দুজনেই নিজেদের মতো করে এই অপরাধের পুনর্গঠন করেন। তাই দর্শকের পক্ষে বোঝা মুশকিল যে সত্যিটা আসলে কী? আর কোনটা বানানো! ঠিক কী ঘটেছে?
অভিনয়
এই চরিত্রগুলির মধ্যে নরেন ব্যাস, জয়দীপ আহলওয়াতের চরিত্রটি বেশ আকর্ষণীয়। যিনি কিনা কারোর সঙ্গে খুব বেশি কথা বলে না। উনি নিজের মধ্যেই থাকেন। তবে কম ডায়ালগের মধ্যেও জয়দীপ আহলওয়াতের অসাধারণ অভিনয় চরিত্রটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। চোখ দিয়েই অর🐼্ধেক অভিনয়টা করে ফেলেছেন জয়দীপ। জানি না, জয়দীপ ছাড়া আর কে এই চরিত্রটি এতটা অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন কিনা। এরপরই আস বিজয় বর্মার কথায়। যিনি কিনা রহস্যের তদন্ত করতে এসে নিজেই বহু জটিলতায় জড়িয়ে যান। বিজয় বর্মা চরিত্রটির মধ্যে বেশি স্তর (লেয়ার্স) নেই। তবুও দক্ষ অভিনেতা হিসাবে তিনি নিজের কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন। এই থ্রিলার মূলত যে চরিত্র দুটির উপর আবর্তিত হয়েছে সেটা হল মায়া এবং নরেন। এখানে তাই নরেন ও মায়ার কথোপকথন ভীষণই ইন্টারেস্টিং। কারণ, এই রহস্যে তাঁরাই সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। নরেনের কথা তো হল, এবার আসি মায়ার কথায়। পরিচালক এখানে মায়ার চরিত্রটি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি এখানে অপরাধী হলেও অসহায়তার কারণেই অপরাধটা করে বসেছেন। আর করিনা তাঁর নিজের চরিত্রের দারুণ দক্ষতায় অভিনয় করেছেন। করিনার অভিনয় সত্যিই মুগ্ধ করার মতোই।