'জওয়ান'-এ শাহরুখের গার্লস গ্যাঙ-এ দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী আলিয়া কুরেশিকে। জাহ্নব൲ীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির সাফল্যের পর খোশমেজাজেই দিন কাটছিল আলিয়ার। বেড়াতে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। কিন্তু ফিরে এসে আলিয়া বলছেন, ঈশ্বর সহায়, যে তিনি বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল সেখানে?
আলিয়া কুরেশি তাইল্যান্ডের যে ঘটনার কথা বলছেন তা শুনলে আপনার-আমার হয়ত গায়ে কাঁটা দেবে। আলিয়া জানান, থাইল্যান্ডের একটা মলে বে♓ড়াতে গিয়ে গোলাগুলির মাঝে পড়ে যান তিনি। ইনস্টাগ্রামের লম্বা পোস্টে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন আলিয়া।
আলিয়া লিখেছেন, 'ঠিক আছে এটা লেখা কঠিন। কিন্তু আমি চাই না আমার ইনস্টাগ্রাম এমন একটা জায়গা হোক যেখানে আমি শুধু চকচকে আর সুখের জিনিস নিয়ে কথা বলি। এ🉐খ🐲ানে আমি ভয়ঙ্কর ঘটনার কথাও বলব। … আমি সিয়াম প্যারাগন শুটিংয়ে থাইল্যান্ডে ছিলাম। অন্যান্য দিনের মতোই আমি আর আমার এক বন্ধু একটা মলে ঢুকি। আমরা যখন চলমান সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, তখন লোকজন হঠাৎই 'শুটার' বলে চিৎকার করে। এরপর ৩টি গুলির শব্দ শুনেছি। সে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল'।
আলিয়া লেখেন, 'আমি কৃতজ্ঞ যে আ꧋মার জীবিত ফিরেছি। আমি চাই বাস্তব জীবন অ্যাকশন চলচ্চিত্রের মতো হত, যেখানে আপনি নির্ভয়ে যে কোনও নিষ🍷্ঠুর লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন এবং বাঁচাতেও পারে। কিন্তু যখন এটা ঘটে, তখন আপনার মনের মধ্যে একমাত্র চিন্তা থাকে জীবিত ফিরে আসা। এখন ভাবছি, দিনটা যখন শুরু হয়েছিল, তখন আমরা নিশ্চিন্ত ছিলাম, কুকুরের সঙ্গে খেলছিলাম। দিনের শেষে আমরা একটা মলে যাই, তখনই বুঝি জীবন অপ্রত্যাশিত।
আলিয়া আরও লেখেন, ‘আমি𝓀 শুধু ভাবছি যে, চলমান সিജঁড়িতে ওঠার আগে শুধু মুদ্রা পরিবর্তনের জন্য ১০ মিনিট সময় গিয়েছে, সেটা না হলে কী হত! মুদ্রা পরিবর্তনের জন্য একটু বেশিই সময় লেগেছে, তবে সেটা না হলে কোথায় থাকতাম! আমি জানি না, তবে সবকিছুই মনে হয় ঈশ্বর নির্ধারিত! আপাতদৃষ্টিতে কোনও ঘটনা বিরক্তিকর হলেও ছদ্মবেশে সেটাই আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। ঈশ্বর হয় হয়তো আপনার জীবন এভাবেই বাঁচান।’