দেখতে দেখতে অনেকগুলো মাস হয়ে গেল আলাদা থাকছেন জিতু কমল আর নবনীতা দাস। গত বছর এপ্রিল মাসেই ডিভোর্সের ঘোষণা করেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন, মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন 💯করে ফেলেছেন। তিন মাস আলাদাও থাকছেন কোর্টের নির্দেশে।
এরপর জানা যায়, নভেম্বরে আইনত আলাদা হয়েছেন দুজনে। তবে দুই তারকারই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইঙ্গিত করছে, যেন পুরনো সম্পর্কের বোঝা ছেড়ে এখনও বেরোতে ꦰপারেননি। এই যেমন শুক্রবারে একটি কবিতা লিখে ফেসবুকে দেন অপরাজিত অভিনেতা জিতু। যাতে প্রেম ও মন ভাঙার কথা। সঙ্গে একাকিত্বের ছাপ। আর তা দেখেই অভিনেতার ভক্তদের ধারণা, তিনি মিস করছেন প্রাক্তন স্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: ‘পনোতি༒’ দর্শনা, KKR-এর হারের কারণ! বউয়ের ট্রোলে রাগলেন সৌরভ, ট্রোলে কড়া জবাব
জিতু লিখেছেন, ‘দেখতে দেখত𓆏ে অতল গহ্বর পেরিয়ে তোমার সামনে/ তুমি প্রদীপ নিয়ে দাঁড়িয়ে চুপ করে/ স্পষ্ট তো🍸মার পায়ের শব্দ আমি শুনেছিলাম/ আজ তুমি বড্ড একা,আমি বিরামহীন সমুদ্রের কাছে/ তুমি আমাকে ডেকেছিলে, আমিও সাড়া দিয়েছিলাম।..’
আরও পড়ুন: কাজলের ‘ন꧅া বলা’ ক্রাশ ছিল অক্ষয়! এবার লন্ডনে একসঙ্গে পার্টি আরভ আর 🎐নাইসার
আর এই পোস্টে একজন মন্তব্য করলেন, ‘জিতুদা, তুমি নবনীতাদিকে এত ভালোবাসে! সমস্ত লেখা প🌠ড়ে মনে হয় নবনীতাদির জন্যই অপেক্ষা করছেন। অভিমান থেকে যে দূরত্ব সেটা ভেঙে আবার এক হতে চাইছেন। সত্যি বলতে জিতুদাদার মতো সৎ মানুষ, কেউ ছেড়ে যাবার পর কবিতা লিখছেন, ফেরানোর চেষ্টা করছেন, বোঝাই যাচ্ছে সত্যি কতটা ভালবাসতে পারে। তোমরা আবার এক হয়ে🌱 যাও।’
ভক্তের এই আর্জি চোখ এড়ায়নি জিতুর। মন্তব্য করলেন🌞, ‘তুমি তাড়াতাড়ি একটু সাবান দিয়ে স্নান সেরে ঘুমিয়ে পড়ো। খুব গরম’। স্পষ্ট বোঝা গেল, এই আলোচনা এখানেই বন্ধ করতে চান।
আরও পড়ুন: মিঠুন-বিতর্কে ক𒈔ুণালের নিশানায়𒀰 দেব! লোকসভা ভোটের আগে, কল্যান-কাঞ্চনের পর ফের কোন্দল টিএমসি-তে
কদিন আগেই নবনীতাকে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর নতুন সম্পর্ক নিয়ে। তাতে জবাব এসেছিল, 'আমি এই আইনি জটিলতা দ্রুত শেষ হোক সেটাই চেয়েছিলাম। আমি পুরনো সম্পর্কের কোনও ভার নিয়ে নতুন সম্পর্কে যেতে চাইনি। সেটা আমার সঙ্গীর জন্য ঠিক হতো না।' প্রস🔥ঙ্গত, শোনা গিয়েছিল ডিভোর্স ঘোষণার পরপরই স্নেহাল অধিকারি নামে কলকাতারই এক জনৈক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গোয়া ঘুরতে যান নবনীতা। পরে অবশ্য স্নেহালকে ‘নতুন বন্ধু’ বলেছিলেন তিনি।
তবে প্রাক্তন বরের উপর তুলেছিলেন গুরুতর অভিযোগ। জানিয়েছিলেন, তাঁর ও জিতুর যৌথ লকারে রাখা ছিল গয়না। ডিভোর্সের আগে বলতেন🃏, সব ফেরত দেবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নাকি জিতু জানিয়েছেন, জয়েন্ট লকারে কোনও গয়না নেই। নবনীতার কথায়, তিনি ডিভোর্সের পর জিতুর থেকে কোনও খোরপোশও দাবি করেননি। তবে নবনীতার তোলা এই অভিযোগে মুখ খুলতে চাননি জিতু একাবরেই। বরাবরই তাঁর দাবি, কোনও কথা বলবেন না একসময়ের ‘বাচ্চা বউ’ (আদর ক💦রে বিবাহিত জীবনে নবনীতাকে এই নামেই ডাকতেন জিতু)-কে নিয়ে।