কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় ফের স্বস্তিতে সলমন খান। আগামী ১০ মার্চ, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না এই বলিউড তারকাকে। বুধবার অভিনেতার আবেদন মঞ্জুর করল যোধপুর আদালত।নিজের কৌঁসুলি হস্তিমল সারস্বত মারফত সলমন একটি আবেদন দায়ের করেছিলেন আদালতে, সেখানে নিজের ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সশীরের হাজিরা দেওয়া থেকে বিরতি চান ভাইজান। ১০ মার্চ শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে তাঁর পক্ষে যোধপুরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভবপর নয়, জানান অভিনেতা। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি (শনিবার)-র মধ্যে সলমনের যোধপুর সেশন কোর্টে সশীরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল, তবে শেষ মুহূর্তে যোধপুর হাইকোর্ট অভিনেতাকে অব্যহতি দেয়। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন অভিনেতা। সলমন খান ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিলে সেশন কোর্ট চত্বরে ব্যাপক ভিড় জমে যায়, যার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। এর ফলে সমস্যা অবধারিত। করোনা ভাইরাস অতিমারী পরিস্থিতিতে যা আরও বিপদজনক, সেই কথা বিচার করেই গতবারও সলমনকে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল আদালত। কৃষ্ণসার হরিন শিকার মামলাায় আপতত জামিনে মুক্ত সলমন। ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল, যোদপুর জেলা আদালতের প্রধান জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট সলমনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন দুটি কালো হরিণ শিকারের জন্য।১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় শ্যুটিং চলাকালীন সলমনের উপর কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। যোধপুরের নিকটবর্তী কঙ্গনি গ্রামে দুটি কালো হরিণ শিকারের অভিযোগ করেছে ভাইজানের উপর। ১৯৯৮ সালে ১-২ অক্টোবরের মধ্যে এই ঘটনা বলে অভিযোগ।