প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অনিকেত মাহাতো, আলোক ভার্মা, পুলস্ত্য আচার্য। এমন অবস্থায় দুই পক্ষই অনড়। না চিকিৎসকরা অনশন তুলতে রাজি, না রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মানছে। তাই মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন বাংলার কিছু বিদ্বজনেরা। কিন্তু সেই আবেদন ༒মানলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। জানিয়ে দিলেন তাঁদের কোনও মধ্য🅘স্থতার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে হঠাৎ কী হল কোয়েꦉলের! কেন বললেন, 'মানসিক সুস্থতা কা🀅মনা করি...'?
কী জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
রবিবার রাতে অনশন মঞ্চ থেকে🐽 আরজি কর নিয়ে অন্যতম আন্দোলনকারী দেবাশিস হালদার জানিয়ে দেন তাঁরা মধ্যস্থতা চাইছেন না। ধর্মতলা থেকে তিনি এদিন সাফ সাফ জানিয়ে দেন, ' বিশিষ্টজনেরা আমাদের পাশে আছে জেনে আমাদের খুব ভালো লাগছে। তাঁরা আমাদের এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে যাঁরা অনশন করছেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিন দিন। সেই বিষয়েই তাঁরা উদ্বিগ্ন। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন আমরা যেন অনশন তুলে নিই। কিন্তু আমরা বলতে চাই যাঁরা এত বড় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁদের মনোবল এত দুর্বল নয়। অসুস্থ হয়ে পড়লেও আমরা এই লড়াই থেকে সরে আসব না কখনও।'
দেবাশিস এদিন আরও জানি🎉য়ে দেন, 'আমাদ🍌ের মধ্যস্থতার দরকার নেই। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয়কে বাদ দিয়ে পাশে থাকুন।'
কী ঘটেছে?
এদিন অপর্ণা সেনরা তাঁদের সই করা চিঠি ইমেল করে পাঠান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকে। সেখানে তাঁরা গোটা বিষয়টি নিয়ে লেখেন, ‘অনশনরত চিকিৎসক বন্ধুদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, নাগরিক স💎মাজের সক্রিয়তার উপর আস্থা রেখে, আপনারা অনশন প্রত্যাহার করুন।' রাজ্য সরকারের প্রতি বিদ্বজ্জনদের বক্তব্য, ‘অনশনরত চিকিৎসকদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনুন। আর তাঁদের দাবিপূরণ করার জন্য সততার সঙ্গে সচেষ্ট হন।’
প্রসঙ্গত রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন 🥂মঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তাঁরা আপত্তি জানিয়েছেন আরজি কর ঘটনার সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিট নিয়ে। কেবল মাত্র সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম থা♛কা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সোমবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।