সেটাও ছিল অগস্ট মাস। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। এতদিন পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুর পর ফের সেই প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কবীর সুমন। ঘুরিয়ে যেন খোঁচা দিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে♛।
আরও পড়ুন: আসছে বিগ🌼 বস ১৮! কবে থেকে শুরু হচ্ছে সলমনের শো? শাইনি আহুজা স🐎হ কাদের কাছে প্রস্তাব গেল অংশ নেওয়ার?
বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর কী লিখলেন কবীর সুমন?
কবীর সুমন এদিন তাঁর ফেসবুকের পাতায় ধনঞ্জয়ের স্মৃতিচারণা করলেন।🅷 মনে করলেন কীভাবে তাঁকে পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। তাও আবার কখন? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যেদিন চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর গায়কের এই পোস্ট নিয়েই শুরু হয়েছﷺে হইচই।
কবীর সুমন এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আপনাকে ভুলিনি, ভুলব না। নিতান্ত circumstancial evidence -এর ভিত্তিতে আপনার ফাঁসি হয়েছিল। সেসময়ের রাজ্য সরকার প্রধানের স্ত্রী ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে নিয়ে পথসভা করেছিলেন আপনাকে ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে জনমত জাগিয়ে তুলতে। আমরা কেউ আপনার ফাঁসি আটকাতে পারিনি, ধনঞ্জয়।' তিনি এদিন আরও লেখেন, 'আজ খুব মনে পড়ছে আপনাকে। সত্যি বলতে, আমিও তো ৭৫ পেরোনো বুড়ো। খেয়াঘাটে অপেক্ষায়।' অনেকেই অনুমান করছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মৃত্যুর পরেও কবীর সুমন তাঁকেই দায়ী করছে꧅ন ধনঞ্জয়ের ফাঁসির জন্য। আর এটা নিয়েই বাড়ছে চাপান উতর।
কী ঘটেছিল?
আজ থেকে ২০ বছর আগে, ২০০৪ সা♎লের ১৪ অগস্ট এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করার দায়ে ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। আর সেই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি দেওয়া হয় এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ধনঞ্জয়ের পরিবার। নানা বিতর্ক দেখা দিয়েছিল সেই সময়।
৮ অগস্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলে গেলেন না ফেরার ൩দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। এদিন বাড়াবাড়ি হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দেননি তিনি। সকালে ৮টা ২০ তে প্রয়াত হন।