বলি তারকারা নিজেদের ছোটবেলার ছবি হামেশাই শেয়ার করে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর শৈশবের সেই ‘সরল’ মুখগুলো নিমেষে মন কেড়ে নেয় সকলের। এরকমই একটা ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে নীল সাদা-ড্রেসে বান্ধবীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে এক বলি নায়িকাকে। আর ছবি শেয়ার হতেই সকলে মেনে নিয়েছেন, ছোটবেলার মজাটাই আলাদা। এখনও চিনতে পারলেন না। নীল-সাদা কার্ডিগান, টাই ও বেল্ট পরা মেয়েটি কঙ্গনা রানাওয়াত। ছোটবেলার ছবি কঙ্গনা নিজেই শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভ্যালির এক ছোট স্কুল, নাম হিল ভ্যালি… সাল ১৯৯৮। হিমাচল প্রদেশ’। কঙ্গনার গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর বান্ধবী। পুরনো দিনের আরও একটি ফোটো শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে তাঁর দেখা মিলেছে লেহেঙ্গা চোলিতে। পিছনে জয় মাতা দি। ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা জানিয়েছেন স্কুল থেকে পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এই মন্দিরে। এটাতেও সকলে ভালোবাসা জানিয়েছেন আজকের ‘কুইন’কে। হিমাচলের এক পাহাড়ি গ্রামেই কঙ্গনার বেড়ে ওঠা। তাঁর পরিবার এখনও সেখানেই থাকেন। কাজের ফাঁকে সময় মিললেই তাই হিমাচল প্রদেশে চলে যান অভিনেত্রী। বলিউডে একজন আউটসাইডার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। বাড়ির অমতেই মুম্বই অসেছিলেন। তারপর ছিল বড় স্ট্র্যাগল। অনুরাগ বসু-র ‘গ্যাংস্টার’ দিয়েই প্রথম পরিচিতি পান তিনি। আর মাধবনের বিপরীতে আনন্দ এল রাইয়ের ‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’ ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ। তারপর ‘কুইন’র জন্য পান জাতীয় পুরস্কার। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে কঙ্গনা অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচলানা ও প্রযোজনার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন নিখুঁতভাবে। ‘কঙ্গনা, তুমি আমাদেরই মতো’, লিখে সেলাম ঠুকেছে নেটপাড়ার একটা অংশ। এত সুন্দর ছেলেবেলার ছবি দেওয়ায় সকলেই আকণ্ঠ প্রশংসা করেছেন তাঁর। সম্প্রতি কপিল শর্মার কমেডি শো-তে এসে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, যখন করোনা এল লকডাউনে কাজ ছিল না। টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুললাম। কিন্তু তা ৬ মাসও টিকল না। আমায় ব্লক করে দিল। হাসতে হাসতেই জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে এত মামলা হয়েছে… কম করে ২০০টা এফআইআর হয়েছে রোজ’!