এতদিন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বা মোদী ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিতি দেওয়া হত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের। তবে এবার থেকে তাঁর পরিচয় তিনি বিজেপির সাংসদ। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভা সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণও করে ফেললেন এমার্জেন্সি অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে জুন মাসেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি নির্বাচনী এলা🃏কা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
শপ🗹থ নেওয়ার পরে, কঙ্গনা মিডিয়াকে সম্বোধন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, পুরো দেশ বিরোধীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রত্যাশা করে। এবার বিরোধীরা একটি ভালো বিরোধী হিসাবে প্রমাণিত হবে, তাই এবার তারা কী করে তা দেখা যাক। মাঝে মাঝে শুধু চিৎকার করবে নাকি অন্য কিছু করবে।’ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে দেখা গেল সাদা শাড়িতে। সঙ্গে একই রঙের ব্লাউজ। কানে ও গলায় সাদা পাথরের🦩 সেট।
মান্ডি লোকসভা আসনের জন্য, কংগ্রেসের টিকিটে প্রতꦛিদ্বন্দ্বিতাকারী বিক্রমাদিত্য সিংয়ের সঙ্গে কঙ্গনার কড়া টক্কর হবে এমনটাই আশা করেছিলেন সকলে। তবে ফলাফল সামনে আসলে দেখা যায় ৭🔯৪ হাজার ৭৫৫ ভোটে জিতে নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি 'দ্য হিমাচলি পডকাস্ট'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জানিয়েছিলেন যে, রাজনীতির চেয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করা অনেক সহজ। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, অতীতেও নাকি বহুবার তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিল🌞েন।
'এই প্রথম নয় যে, আমাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। 'গ্যাংস্টার'-এর পর আমাকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রপিতামহ কম করে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন। দেখুন, আপনি যদি এমন একটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন যেখানে আপানার ꦍপরিবারের অন্য কেউ সাফল্য পেয়েছিলেন, সেখানে স্থানীয় নেতারা আপনার কাছে তো আসবেই এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে। এটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু আমি নয়, আমার বাবাও এই অফার পেয়েছিলেন। আমার দিদিও অ্যাসিড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তাকেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই আমাদের কাছে রাজনৈতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়াটা এমন কিছু বড় কথা নয়...আমি যদি এতে আগ্রহী না হতাম, তাহলে আমাকে এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না।', বলেছিলেন কঙ্গনা।
এদিকে ভোটে জেতার পর থাপ্পড়ও খেতে হয় কঙ্গনাকে। কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি’ বলার কারণে তাঁকে এয়ারপোর্টের ভিতরেই সপাটে চড় মারে এক সিআইএসএফ জওয়ান মহিলা। কাজের সূত্রে, মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে অভিনেত্রীর এমার্জেন্স𒐪ি সিনেমাটি। যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। ভারতের জরুরি অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।