৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে একগুচ্ছ ছবি। এক দিকে রয়েছে হৃতিক রোশন এবং সইফ আলি খানের 'বিক্রম বেদা'। অন্য দিকে, ছবির পসরা সাজিয়ে মাঠে নেমেছে টলিউডও। তালিকায় আছে 'কর্ণস🎃ুবর্ণের গুপ্তধন', 'কাছের মানুষ', 'বৌদি ক্যান্টিন' এবং 'মিশন এভারেস্ট'। দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়— প্রায় প্রতিটি ছবিতেই রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় সব নাম। কিন্তু বক্স অফিসের লড়াইয়ে কে কাকে টেক্কা দিচ্ছেন? জেনে নেওয়া যাক প্রথম দিনের হিসেবনিকেশ।
কলকাতার এক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রির নিরিখে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে এগিয়ে 'সোনাদা'। অর্থাৎ পুজোয় 'গুপ্তধন'-এর খোঁজে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমছে 🧜ভালোই। মুক্তির দিনেই ৮০%-৯০% টিকিট বিক্রি হয়েছে শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ছাতার নীচে তৈরি এই ছবির।
'কর্ণসুবর্ণের...' খানিক পিছনেই 'বিক্রম বেদা'। জনপ্রিয় তামিল অ্🌳যাকশন-থ্রিলা𓂃রের হিন্দি পুনর্নির্মাণের উপর ভরসা রাখছেন সিনেপ্রেমীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, হৃতিক-সইফের যুগলবন্দির মহিমায় প্রেক্ষাগৃহগুলির ৬০% আসন ভরে উঠবে।
তবে ব্যবসার নিরিখে আপাতত এইℱ দুই ছবির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে 'কাছের মানুষ', 'বৌদি ক্যান্টিন' এবং 'মিশন এভারেস্ট'। তবে সময়ের সঙ্গে সেই চিত্র বদলাবে বলেই মনে করছেন সেই বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ। তাঁর কথায়, 'পুজো এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। হলে নিশ্চয়ই মানুষ এই ছবিগুলিও দেখবেন। পরমব্রত-শুভশ্রীর 'হাবজি গাবজি' বক্স অফিসে ভালো চ꧟লেছিল। 'বৌদি ক্যান্টিন'ও না চলার কারণ নেই। 'কাছের মানুষ'-এও দু'জন বড় তারকা রয়েছেন। দর্শকের মধ্যে তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া উচিত।'
সেই বিশেষজ্ঞের মতে, একই সময়ে একসঙ্গে এতগুলি ছবি প্রেক্ষাগৃহে এলে দর্শকদের মধ্যে বিভ্রা🐠ন্তির সৃষ্টি হতে পারে। তাঁর যুক্তি, 'মানুষ কোনটা ছেড়ে কোন ছবিটা দেখবেন, তা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেন না। একসঙ্গে সব ক'টি ছবি দেখে ফেলা তো সম্ভব নয়। 'মিশন এভারেস্ট'-এর মতো বিষয়ভিত্তিক একটি ছবি পুজোর পর মুক্তি পেলে হয়তো আরও ভালো ব্যবসা করত।'
বক্স অফিসের দৌড়ে আপাতত সব চেয়෴ে এগিয়ে সোনাদা, 'বিক্রম-বেদা'র অবস্থায় মন্দ নয়। 🌳লক্ষীলাভের নিরিখে বাকি তিন ছবির ভবিষ্যৎ কী? এখন সেটাই দেখার।