দু-দিন আগেই অকালে চলে গিয়েছেন টলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ কিংশুক গঙ্গোপাধ্যায়। ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ খ্যাত অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্ররা। মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই থামিয়ে না-ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংশুক। এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর প্রেমিকা। আরও পড়ুন-‘শরীর আলাদা হয়েছে আমরা নই', কꦦিংশুকের মৃত্🔯যুতে শোকেপাথর সঙ্গী! মন ভার ‘রানিমা’ দিতিপ্রিয়া-রাহুলের
শেষ কয়েকমাস শরীর ভালো যাচ্ছ💛িল না অভিনেতা। তবুও হার মানেননি কিংশুক। আর কিংশুকের🎃 এই কঠিন লড়াইয়ে মুহূর্তে তাঁকে আগলে রেখেছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষ, প্রহেলিকা (মীনা মণ্ডল)। পেশায় মডেল তিনি। কিংশুকের মৃত্যুতে সর্বহারা প্রহেলিকা। শেষ কয়েকটা মাস কিংশুককে আদরে মুড়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রয়াত প্রেমিকের উদ্দেশে তিনি ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন, ‘কিংশুকের সাথে আমার সম্পর্ক খুব বেশি সময়ের নয়। জীবনের শেষ কিছু মাস ও আমার সাথে কাটিয়েছে, কিন্তু কম সময়েও আমরা বহু মুহূর্ত বেঁচেছি...প্রথম দেখা থেকে শুরু করে প্রথম হাসপাতাল..সবখানেই আমরা ভালোবেসেছি। শেষ মুহূর্তেও আমি ওকে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়েছি..আমার জীবন কিংশুকময় ছিল এখনও তাই..কিন্তু এখন সকাল হলে ফোন কল আসে না...রোজ দেখা করার তাড়া থাকে না...রাগ, অভিমান, ঝগড়া, ভালোবাসা কোনও কিছুই করার থাকে না..’।
গোটা জীবন ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া কীভাবে কাটাবেন তিনি? দিশাহীন প্রহেলিকা। হৃদয় নিংড়ে বাবানের (কিংশুককে এই নামে ডাকতেনജ) জন্য অভিনেত্রী লেখেন, ‘সারাদিন কলে (ফোনে) কথা বলতো, আমি রেগে গিয়ে বলতাম, নিজের জন্য সময় পাই না...আজ এত সময় কি করে কাটাবো বুঝতে পারছি না। আমার এই ২৮ বছর বয়স হয়তো সামলাতে পারছে না বাবানের না থাকা..জানি না ও দেখতে পায় কিনা তার মানাই কিভাবে নিঃশেষ হচ্ছে। কতো বাধা পেরিয়ে এক হয়েছিলাম...বুঝিনি এখনও আরও গোটা একটা জীবন কাটাতে হবে ভালোবা🌳সা ছাড়া....’।
‘আমার দুর্গা’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, ‘গুড্ডি’, ‘উমার সংসার’, ‘দেবী চৌধুরাণী’র মতো অজস্র হিট মেগার অংশ থেকেছেন কিংশুক। আড়াই দশক দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অজস্র টেলিফিল্ম, মেগা সিরিয়ালে 🥀কাজ করেছেন কিংশুক। ২০২২ সালে ‘দ্য হিউম্যানিটি’ নাম স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন কিংশুক। লিড রোলে অভিনয় করেছিলেন লিটসি দাস ও দেবজিৎ মুখোপাধ্যায়। দু-সপ্তাহ আগেও স্টার জলসার ‘রামপ্রসাদ’ সিরিয়ালের শ্যুটিং করেছিলেন। সেই শেষ, আর শ্যুটিং ফ্লোরে ফেরা হল না কিংশুকের।