মে মাসের শেষদিনে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান কেকে। প্রিয় গায়কের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি সেই সময় কেউই। গোটা দেশের চোখে জল ছিল সꦏেদিন। কেকে-র শেষযাত্রায় নেমেছিল মানুষের ঢল। আর যারা পৌঁছতে পারেননি তাঁরা শেষ সম্মান জানিয়েছিল মোবাইলে বা টিভির পরদায় ভিডিয়ো দেখেই। মঙ্গলবার ছিল কেকে-র জন্মবার্ষিকী। আর সেই বিশেষ দিনে গায়কের পুরনো ছবির সঙ্গে মন খারাপ করা বার্তা শেয়ার করে নিলেন বউ আর মেয়ে।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে শেষ গান গেয়েছিলেন কেকে। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হয় হার্ট অ্যাটাক। বেঁচে থাকলে ২৩ অগস্ট ৫৪ বছরে পা দিতেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে গায়কের স্ত্রী জ্যোতি লিখলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে সুইট হার্ট। ভালোবাসি, তোমায় ভীষণ মিস করি। খুব কষ্ট হয়।’ আরও পড়ুন: ‘এই তো মা 🥃হলাম’, প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে অস্বস্তি হচ্ছি♏ল দেবিনার, গুরমিত তো…
কেকে-র মেয়ে নিজেও একজন গায়িকা। তামারা ইনস্টায় বাবার সঙ্গে তোলা ছোটবেলার একটা ছবি শেয়ার করে লিখলেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বাবা। খুব মিস করছি তোমায় আজ ৫০০ বার শুভেচ্ছা জানানো। মিস করছি ঘুম থেকে উঠেই তোমার সঙ্গে কেক খেতে বসে যাওয়া। আশা করি তুমি ওখানে বসে যত ইচ্ছে কেক এখন খেতে পারছ। চিন্তা করো না, আজ আমরা মাকে মন খারাপ করার এক ফোঁটা সুযোগও আজ দেব না। আমরা খুব বিরক্ত করব, যাতে রেগে যায়। আশা করব আজ আমাদের গান শুনতে পাবে তুমি। সব তোমার জন্য বাবা।’ আরও পড়ুন: ‘এত অপছন্দ ꦜতাও দেখে’, কফি উইথ করণ নিয়ে ট্রোল করা মানুষদের𝓀 নিয়ে ঠাট্টা করলেন করণ!
হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কানাড়া, বাংলা-সহ একাধিক ভাষায় গান রেকর্ড করেছিলেন কেকে। আখোঁ মে তেরি, খুদা জানে, তড়প তড়প কে, তু যো মিলা, তু হি মেরি শব হ্যায়-এর মতো একাধিক হিট গা🉐ন উপহার দিয়েছেন কেকে দর্শকদের।
৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে শো করে ফেরার পথে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন কেকে। এরপর হোটেলে ফিরে আরও অসুস্থ বোধ করলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তাররা মৃত ঘ🎀োষণা করেন গায়ককে। লাইভ শো করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেকে-যে এভাবে চলে যেতে পারেন তা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তাঁর ভক্তরা। ৩১ মে রাতে চোখের জল ফেলেছিল গোটা দেশ। বলা ভালো নির্ঘুম রাত কেটেছিল। এখনও ভক্তদের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছেন তিনি।