১০ মার্চ কলকাতায় এক জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২২’ প্রদান করা হয়েছে। নাচে গ✅ানে জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই অনুষ্ঠান। জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে নতুন থেকে পুরনো সমস্ত শিল্পীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানো হয় এদিন। রেড কার্পেটে বাহারি সাজে ধরা দিলেন সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। এদিন সেরা নবাগত পরিচালকের পুরস্কার পান কুমার চৌধুরী। তিনি তাঁর ছবি প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন ছবির জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন।
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হল ১০ তারিখ। এদিন সেরা নবাগত পরিচালক বিভাগে দুজন যুগ্ম ভাবে এই পুরস্কার পান। ঝিল্লি ছবির জন্য ইশান ঘোষ। এবং প্রিয় ⛄চিনার পাতা, ইতি সেগুন ছবির জন্য কুমার চৌধুরী এই পুরস্কার পান।
প্রিয় চিনার পাতা ছবিটি গত বছর ১৩ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল। গোটা বাংলায় এই ছবি কটা শো পেয়েছিল জানেন? মাত্র একটা হলে একটা শো। নন্দন সন্ধ্যা ৬.২০ এর শো পেয়েছিল এই ছবি। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে একটা হলে জায়গা পেলেও এই ছꦍবি টানা তিনদিন হাউজফুল ছবি। অনেকেই চেয়েও টিকিট পাননি এই ছবির।
আর এ হেন ছবির পরিচালনা করেছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ কুমার চৌধুরী। নিজের সবটুকু নিংড়ে দিয়ে তিনি এই ছবি বানান। এর আগে অবশ্য তিনি ২০টির মতো শর্টফিল্ম এবꦰং টেলিফিল্ম বানিয়েছিলেন। লেখালিখির অভ্যাস আছে তাঁর। পৃথিবীর খোঁজ খবর রাখতেও পছন্দ করেন তিনি। এমন সময় ২০১২ সালে তাঁর নজর কাড়ে রোহিঙ্গাদের খবর। তখন তিনি ঠিক করে নেন যে এই অদ্ভুত অশান্তি, অসহিষ্ণু বাতাবরণ তাঁর গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। সেটা করলেনও। তৈরি হল প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন। গল্প উঠে আসে এক রোহিঙ্গা মেয়ের কথা। বাস্তবে সেই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে সমস্ত তথ্য জোগাড় করেন ভীষণ কষ্ট করে। এরপর ২০১৬ সালে লিখতে বসেন এই ছবির চিত্রনা🎶ট্য। টানা দুই বছর ধরে লেখেন সেই চিত্রনাট্য।
কিন্তু চিত্রনাট্য লিখলেও প্রযোজক পাননি। তখন তাঁর স্ত্রী তাঁর সমস্ত গয়না বেচে সেই টাকা দিয়ে তাঁকে সাহায্য করেন। কুমার নিজেও লোন নেন। কিন্তু তাত🎉েও কুলিয়ে উঠতে পারেন না টাকায়। অবশেষে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের উপর ভরসা করতে হয় তাঁকে। অনেক কষ্ট, অনেক বাঁধা পেরিয়ে কাশ্মীরি যুবক এবং রোহিঙ্গা তরুণীর প্রেম কাহিনির উপর ভিত্তি করে বানিয়ে ফেলেন প্রিয় চিনার পাতা, ইতি সেগুন।
সেই কষ্টের মূল্য অবশেষে তিনি পেলেন ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে। সেরা নবাগত পরিচালকের পুরস্কার পেয়ে আবেগপ্🌄রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। তিনি এই পুরস্কার হাতে নিয়ে এদিন বলেন, 'আমার ছবির জন্য কোনও প্রযোজক ছিল না। আমার বউ গয়না বিক্রি করেছে। ওর দ🐲ুটো কিডনি খারাপ। আমার বাড়ির দুটো মেহগনি গাছের কাঠ বিক্রি করে টাকা তুলেছি। সরকারি হল ছাড়া ছবিটা রিলিজ করতে পারিনি। যাঁরা ছবিটা দেখেছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'