ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর একটা সময় পরিচয় ছিল আﷺমির খানের স্ত্রী আর এখন আমির খানের প্রাক্তন! এই তকমা নিয়ে আপত্তি থাকলেও সত্যিটা মুছে ফেলতে পারেননি কিরণ রাও। আমিরের স্ত্রী হওয়ার ফায়দা তুলেছেন তিনি, অকপটে সে কথাও স্বীকার করেছেন।
১লা মার্চ, শুক্রবার মুক্তি পেল কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিজ’। আমিরের প্রাক্তন স্ত্রীর কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবি এটꦡি। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ধোবি ঘাট’। পরিচালক কিরণের প্রশংসায় সরব হয়েছিল সকলে। কিন্তু তারপর এক দশকেরও বেশি সময় পরিচালনা থেকে দূরে ছিলেনꦛ আজাদ জননী।
কিরণের বউ বদলের গল্পে মন্ত্রমুগ্ধ বলিউড। পরিচালক করণ জোহর প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রীকে। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ পরিচালক লেখেন, ‘আমি শুধু বলব যখন ২০২৪-এর শেষে আমরা বছরটার দিকে ফিরে তাকাব, এই ছবিটা বছরের অন🀅্যতম সেরা ছবি হিসাবে বিবেচিত হবে। এটা একটা রত্ন। কিরণের পরিচালনায় তৈরি একটা প্রাণবন্ত এবং রোমাঞ্চকর স্যাটায়ার’। অতি সহজে সত্য কথা এই ছবির মাধ্যমে বলেছেন কিরণ, বিশ্বাস করণের।
সম্প্রতি বলিউড বন্ধুদের জন্য এই ছবির স্পেশ্🌱যাল স্ক্রিনিং-এর আয়োজন করেছিলেন আমির-কিরণ। জানিয়ে রাখি, কিরণের এই ছবির প্রযোজক আমির খান। কাগজে-কলমে স্বামী-স্ত্রী না হলেও আজও অটুট তাঁদের বন্ধুত্ব। লাপাতা লেডিজের স্ক্রিনিং-এ পৌঁছেছিলেন সলমন খান, করণ জোহর, সানি দেওল, কাজল, আনন্দ এল রাই, রাধিকা আপ্তেরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির প্রশংসায় 💧পঞ্চমুখ কাজল। তাঁর কথায়, ‘সুপার কুল’ ছবি লাপাতা লেডিজ। রাধিকা আপ্তের মতে, ‘এই ছবিটা অসাধারণ, মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সৎ প্রচেষ্টায় তৈরি, মজাদার, মিষ্টি এবং মনোরম। এই ছবিটা আপনি কোনওভাবেই মিস করবেন না’।
সংবেদনশীলতার সঙ্গে মুম্বইয়ের রোজনামচার গল্প ধোবি ঘাটে তুলে ধরেছিলেন কিরণ, আর এবার মজার ছলে বউ হারিয়ে যাওয়ার কাহান꧂ি বললেন। ‘লাপাতা লেডিজ’-এর মুখ্য তিন চরিত্রে রয়েছে অপরিচিত মুখ। নীতাংশি গোয়েল, প্রতিভা রত্না এবং স্পর্শ শ্রীবাস্তবকে দেখা গেল বউ হারানোর এই কাহানিতে। অন্যদিকে মজাদার পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় রয়েছেন ভোজপুরী সুপারস্টার রবি কি🌳ষাণ।
নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে হাজির দীপক কুমার। লম্বা ঘোমটা দিয়ে ঢাকা বউয়ের মুখ🌸। তা সরতেই বিপত্তি! মাথায় হাত বরের। কারণ সেই মেয়ে তাঁর স্ত্রী নয়, অন্য় কেউ! পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে হেসেখুন অফিসার। হয়রানি শিকার বর জানায়, ‘বিয়ে করে যাকে ঘরে আনলাম সে আমার বউ ফুল নয়’। তবে সে কে? বদলে যাওয়া বউ বলে, তাঁর নাম পুষ্পারানি।
পুষ্পারানির হাবভাব দেখে সন্দেহ জন্মায় পুলিশের মনে। ঘোমটা ছাড়া ছবি তুলবে না সে! পাছে বদনামি কুড়োতে হয়। এরপরই তাঁর পিছনে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। ওদিকে ফুলের বিশ্বাস তাঁর বর ঠিক খুঁজে বার করবে তাঁক🌌ে। কিন্তু কীভাবে? কারণ বরের কাছে তাঁর একটি মাত্র ছবি রয়েছে, আর সেই ছবিতেও তাঁর মুখ ঘোমটায় ঢাকা।