রেড রোড জুড়ে চলছে প্রস্তুতি। আরজি কর ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে জুনিয়র চিকিৎকদের ‘দ্রোহের উৎসব’ চলছে, কিন্তু সেই সব উপেক্ষা করেই পুজো কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর অনান্য বছরের মতোই কলকাতা এবং শহরতলির একশোটির বেশি পুজো কমিটিকে নিয়ে পুজো কার্নিভালের আয়োজনে মমতা সরকার। আরও পড়ুন-‘মা হওয়া নয় মুখের কথা.. বললেন কী করে? ছিঃ’, মমতার ‘উৎসবে ফিরে আসুন’ বার্তায় ক্ষুব্ধ🌠 মানসী-অনিন্দিতারা
জোর কদমে প্রস্তুতি, ইতিমধ্যেই বিলি হয়েছে ২৮ হাজার আমন্ত্রণপত্র। জানা যাচ্ছে, অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক 🐼বিদেশি দর্শক উপস্থিত থাকেন রেড রোডে। উৎসবের আনন্দে মুখরিত হবে চারিদিক, নৃত্য পরিবেশন করবেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।
আর জি করের নির্যাতিতার বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে সেখানে আমরণ অনশনে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা, অ🦂সুস্থ হয়ে ৪জন আইসিইউ-তে। সেখানে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ♍ অনেকের চোখেই দৃষ্টিকটূ ঠেকছে। অভিনেতা দেবনাথ চট্টোপাধ্যায় সেই ভাবনাই নিজের ফেসবুকের পেজে তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘মেয়েটির প্রতি সমবেদনা, সম্মান জানিয়েও কি কার্নিভালটা এবারে বন্ধ রাখা যেত না ?’ এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে।
তাঁর এই পোস্টেই গর্জে উঠলেন মানসী সিনহা। বাম মনস্ক এই অভিনেত্রী তথা পরিচালক বরাবরই মমতা সরকারের সমালোচনায় সরব হন। আরজি করের ঘটনাতꦰেও তিনি চুপ থাকেননি। তিনি নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। কমেন্ট বক্সে লেখেন, ‘উনি কার্নিভালে মঞ্চতেও মাইক হাতে নাচবেন… মিলিয়ে নিও! অবশ্য়ি… তার আগে একটা নীরবতা পালনও হতে পারে!’ অভিনেত্রী তপতী মুন্সীও বলেন, ‘একমাস হয়ে গেছে। এবার উৎসবে ফিরুন....এই মানসিকতা যার সে কার্নিভাল বন্ধ করবে?’ কেউ কেউ আবার বলেন, ‘UNESCO-কে ছবি পাঠাতে হয় গো, সবারই দায় আছে, ক্ষমা করে দাও’।
ওদিকে পুজো কার্নিভালের দিনই 'দ্রোহের কার্নিভাল'-এর ডা♎ক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সেই কার্নিভালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মানসী লেখেন, ‘এ কার্ꦿনিভাল..আমাদের সবার হোক’।
আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচারের দা💫বিতে এবং অনশনরত চিকিৎসকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে আগামিকাল (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টে থেকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। তার আগে আজ,(সোমবার) স্বাস্থ্যভবনে চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০টি দাবি তুলেছেন, সেগুলির মধ্যে সাতটিই ইতিমধ্যে পূরণ করেছে রাজ্য সরকার। বাকি দাবিগুলি যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায়, সেজন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
সেই কাজটা কতদিনের মধ্যে শেষ হবে, তা জানতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেগুলির ক্ষেত্রে ওরকমভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তারপরও জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সাতটি দাবি যে ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে, সেটা থেকেই স্পষ্ট যে রাজ্য 🌸সরকাꦯর ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে।