নাম তাঁর শাহরুখ। বলিউডে তাঁর যাত্রাপথ, ধীরে ধীরে 'বাদশা' হয়ে ওঠা সবসময়ই আলোচনায় উঠে এসেছে। আম আদমি থেকে শুরু ক⭕রে, বহু অভিনেতার কাছেও তিনি অনুপ্রেরণা। সম্প্রতি কিং খানকে নিয়ে ম꧋ুখ খুলেছেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। বারবার বিভিন্ন সমস্যা থেকে বের হয়ে এসে শাহরুখ কীভাবে নিজেকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন মনোজ। তাঁর কথায়, শাহরুখ শুধু অভিনয় জীবন নয়, নিজের ব্য়ক্তিগত জীবনকেও নতুন করে গড়েছেন।
মনোজ বাজপেয়ী বলেন, ‘শাহরুখ আমার দুনিয়া একেবারেই আলাদা। আমাদের যে প্রায়ই দেখা হয়, এমনটা নয়। ওর কাজের ক্ষেত্রে, আর আমার কাজের ক্ষেত্র পুরোপুরি আলাদা। আꦓমি যখন ১৯-২০ বছরের ছিলাম, তখন আমরা একসঙ্গে প্রায় দেড় বছর কাজ করেছি। আমরা একে অপরে শ্রদ্ধা করি।’
মনেজের কথায়, ‘ওকে এই জায়গায় দেখে আমার খুব ভালো লাগে। শাহরুখ নিজের একটা আলাদা দুনিয়া তৈরি করেছেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই শাহরুখ তাঁর পুরো পরিবারকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে উনি আবারও নিজের পরিবার তৈরি করেছেন। কেরিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, সবটাই ও ধীরে ধীরে সাজিয়েছেন, তৈরি করেছেন।’ মনোজ বাজপেয়ীর কথায়, ‘শাহ༒রুখের সাফল্যে আমি কখনও ঈর্ষান্বিত হই না। কারণ, আমি ওঁকে অনেক খারাপ সময়ও কাট❀াতে দেখিছি। ওঁকে আমি শ্রদ্ধা করি।’
প্র🌺সঙ্গত ১৯৮🔯৯-এ ‘ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’ টেলিভিশনের ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন শাহরুখ-মনোজ। পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে 'বীরজারা' ছবিতে ফের একসঙ্গে কাজ করেন এই দুই তারকা।
প্রসঙ্গত, ‘দশ কা দম’ শোতেএসে আকবার বাবা-মাকে হারানো নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শাহরুখ নিজেই। তিনি বলেছিলেন, ‘আমা🃏র বাবা-মারা যাওয়ার সময় আমার বয়▨স ছিল মাত্র ১৫ এবং আমার মা যখন চলে যান, তখন আমি ছিলাম বছর ২৬-এর। এটা আমার কাছে একটা বড় আঘাত ছিল। আমার বাবা-মাকে হারিয়ে ফাঁকা বাড়ি যেন আমার দিদি আর আমাকে গ্রাস করতে আসত। আমার বাবা-মা উভয়কে হারানোর একাকীত্ব, বেদনা এবং দুঃখ, আমার জীবনকে গ্রাস করার জন্য যথেষ্ঠ ছিল।’