কেরিয়ারে কম ওঠাপড়া দেখেননি মিঠুন চক্রবর্তী। নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন বলিউডের হিরো হতে কম ঠোক্কর খেতে হয়নি তাঁকে। একইকথা প্রযোজ্য, মিঠুনের সন্তানদের ক্ষেত্রেও। ২০০৮ সালে ‘জিমি’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ কর🐭েছিলেন মহাক্ষয় চক্রবর্তী। কিন্তু সেই ছবি বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয়। বড় ছেলের ছবি ফ্লপ হওয়া গোটা পরিবারের কাছে ছিল বড় মানসিক আঘাত। একটি নিউজ পোর্টালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মহাক্ষয় প্রকাশ করেছিলেন যে ছবিটি ফ্লপ হওয়ার পরে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে এমন লেখাও প্রকাশ হয়েছিল যে তিনি জুনিয়র শিল্পী হওয়ারও যোগ্য নন। সঙ্গে মিঠুনের বড় ছেলে মিমো জানান, ছবি ফ্লপের প্রভাব তাঁর মা-বাবা উপরেও পড়েছিল।
মিঠুন আর যোগিতা বালি বিয়ে করেন ১৯৭৯ সালে। বড় ছেলে ম🐻হাক্ষয়ের জন্ম হয় ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে। এক সাক্ষাৎকারে মহাক্ষয় জানান, তিনি বর্তমান সময়ে তাঁর কেরিয়ারের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে পারলেও, একসময় তাঁর কাছে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়াও অসম্ভব ছিল।
এর আগে বলিউডের নেপোটিজম প্রসঙ্গে ইটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিমোকে বলতে শোনা যায়, ‘আমিই জীবন্ত প্রমাণ এবং উদাহরণ যে স্বজনপ্রীতির কোনো অস্তিত্বই নেই। আর যদি থাকত তাহলে হয়তো আমি আমার চার কিংবা পাঁচ নম্বর ছবির কাজ করতাম এখন। আমি কিন্তু এখনও আর পাঁচজনের মতোই স্ট্যাগল করছি। আর এটা আমি বেশ গর্ব করে বলতে পারি। আমি কাজ পাইনি কারণ আমি অডিশনে নির্বাচিত হইনি। একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে এই সত্য মানতে হবে যে আপনাকে প্রত্যাখানের মুখে পড়তে হতেই পারে। সেটা কখনওই ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া উচিত নয়। আপনি তো আপনার সেরাটাই 🥃দিচ্ছেন? আমি তো টিভি থেকে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ সব কিছুর অডিশন দিয়েছি। আর আমি যে তিনটে কাজ পেয়েছি তা ওইসব অডিশন থেকেই। আর অভিনেতা হিসেবে তাতেই আমি গর্বিত। কারণ আমি নিজের মেধায় কাজ পেয়েছি।’
জিমির পরে, মিমো হন্টেড থ্রি-ডি এবং শত্রুর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাঁকে সম্প্রতি নওয়াজউ🐻দ্দিন সিদ্দিকী এবং নেহা শর্মা অভিনীত 'জোগিরা সারা রারা'-তেও দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিঠুনের আরেক সন্ত🌞ান নমশি চক্রবর্তীও ২০২২ সালে পা রাখেন বলিউডে 'ব্যাডবয়' নামের ছবি দিয়ে। ছবির প্রচারে সে সময় কলকাতাতেও এসেছিলেন তিনি।