প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় দেখা মিলল প্রবীণ অভিনেত্রী মুমতাজের। ‘🍨ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’-এর মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছেন তিনি। সেখানেই জীবনের নানা পুরনো অধ্যায় নিয়ে স্মৃতিচারণ ঘটান প্রবীণ অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সোনি এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে পক্ষ থেকে একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ১৯꧅৬০ সালে শাম্মী কাপুরের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন মুমতাজꦕ, সেই নিয়েই কথা বলেছেন তিনি।
ভিডিয়োতে মুমতাজ ‘আপ কি কসম’ ছবির থেকে ‘জয় জয় শিব শঙ্কর’ গানে নেচেছিলেন। আসল গানটিতে অভিনয় করেছেন রাজেশ খান্না ও মুমতাজ। তিনি ‘ব্রহ্মচারী’ (১৯৬৮) থেকে ‘আজ কাল তেরে মেরে পেয়ার কে চার্চে’-তেও নাচ করেছিলেন। আসল গানটিতে মুমতাজ🔯 এবং শাম্মী কাপুর অভিনয় করেছেন।
আদিত্য নারায়ণ যখন বললেন, ‘কী জুটি ছিল মুমতাজ জি এবং শাম্মী জি-র’। এরপরই মুমতাজ বলে ওঠেন, ‘উনি সোজাসুজি প্রশ্ন করেছিলেন, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই’। প꧟্রবীণ অভিনেত্রী আরও যোগ করেছেন, ‘আমার ১৭ বছর বয়স ছিল, তখনই বিয়ে করতে চাইনি। ত💙াইজন্য বিয়ে করিনি। তবে এখন কখনও কখনও ওঁকে মনে পড়ে’।
এ🥂কই ভিডিয়োতে মুমতাজ বলেছেন, ‘ওঁরা প্রশ্ন করত, মুমতাজ কাকে বিয়ে করবে। আমি বলতাম, ইরানের শাহের ছেলেকে’। প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমারের সঙ্গে প𝓡্রথম দৃশ্যে কাজ করার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দিলীপ সাহেবকে গিয়ে আঘাত করতে হত, ওটাই আমাদের একসঙ্গে প্রথম দৃশ্য ছিল’।
ধর্মেন্দ্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুমতাজ জানিয়েছিলেন, ‘আমার ধরমকে খুব ভালো লাগে’। অভিনেতাকে চুম্বন এবং আলিঙ্🌞গন করেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী। ধর্মেন্দ্র প্রত্যুত্তোরে বলেছেন, ‘মুমতাজকে দেখে অনুভূতি চলে এলো’। প্রবীণ অভিনেতার গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে।
একসঙ্গে এক🔴াধিক ছবিতে কাজ করেছেন মুমতাজ এবং ধর্মেন্দ্র। সেগুলি হল- কাজল (১৯৬৫), রাম অউর শ্যাম এবং চন্দন কা পালনা (১৯৬৭), মেরে হামদাম মেরে দোস্ত (১৯৬৮), আদমি অউর ইনসান (১৯৬৯) এবং লোফার (১৯৭৩)। মুমতাজ শাম্মীর সঙ্গে মাত্র দুটি ছবিতে কাজ করেছেন- ওয়াল্লাহ কেয়া বাত হ্যায় (১৯৬২), এবং ব্রহ্মচারী (১৯৬৮)।
৬০ ও ৭০ দশকের জনপ্রিয়ꦅ অভিনেত্রীদের অন্যতম ছিলেন মুমতাজ। তাঁকে নিজের যুগের সুপারহিট অভিনেত্রীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সফল কেরিয়ার। মাত্র ১১ বছর বয়সে ‘সোনে কি চিড়িয়া’ ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন। সেই সময় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিতেন মুমতাজ। রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র এবং শশী কাপুর সহ বলিউডের বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। শুধু দর্শকদেরই নয়, ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় তারকারাও অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে অভিভূত ছিলেন।
১৯৭৪ সালে উগান্ডার ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুমতাজ। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান নাতাশা এবং তানিয়া। 🃏মুমতাজ ১৩ বছর পরে ‘আঁধিয়ান’ দিয়ে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, কিন্তু ছবি ফ্লপ হওয়ার পর আর পর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর।