আরজি কর কা𒀰ণ্ডের দুই মাস পেরোতে চলল। আর কদিন পরেই সেই তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। এখনও বিচার অধরা। এখনও মানুষ বারংবার পথে নামছেন বিচারের দাবিতে। এর মাঝে মহালয়া থেকে উদ্বোধন শুরু হতেই, ধীর লয়ে উৎসবের আমেজ ফিরতেই কটাক্ষ করলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ✨নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলনা টানলেন সতীদাহের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: 'আগে জানলে এই পেশায় আসতাম না.💜..' কেরালা স্টোরির পর জনপ্রিয়ত🅺া তুঙ্গে, তাও হঠাৎ কেন এমন বললেন আদা?
আরও পড়ুন: '𒐪মানসিক সুস্থতা কামনা করি', আরজি করে নির্যা🌠তিতার মূর্তি বসতেই কটাক্ষ BJP -র তরুণজ্যোতি, গায়ক সুরজিৎদের
কী লিখলেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
𒀰নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্টতই উৎসব শুরু হতেই কটাক্ষ করলেন। তুলনা টানলেন সতীদাহ প্রথার। এদিন তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, 'সতীদাহের সময়ও ঢাক ঢোল বাজিয়ে উৎসব করা হতো। যাতে সতীর কান্নার আওয়াজ কারও কানে না পৌঁছায়।'
কে কী বলছেন?
অনেকেই তাঁর পোস্টে তাঁকে সমর্থন করেছেন। শেয়ার হয়েছে এই পোস্ট বহুবার। এক ব্যক্তি লেখেন, 'একদম, যত কান্নাকাটি তত জোরে ঢাকের আওয়াজ, ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে।' আরেকজন লেখেন, 'ঠিক তাই। সতীদাহের পক্ষে অন্যতম প্রবক্তারা ছিলেন, সে যুগের সমাজপতিরা। যারা সমাজের ওপর নিজেদের দখলদারী কোন অবস্থায় যাতে চলে না যায়, তাই তারা প্রচলিত ব্যাবস্থার পরিবর্তনের তীব্র বিরোধী ছিলেন।সমাজের ওপর তারা তাদের দখলদারী ছাড়তে রাজী ছিলেন না। ওরা সতীদাহের পক্ষে ৩৭ হাজারের বেশী সই সংগ্রহ করেছিল, অন্যদিকে সতীদাহের বিপক্ষে সমাজ সংস্কাররা সহ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্বেও মাত্র ৯০০ র কিছু বেশি মানুষের সই সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যদিও পরিশেষে বিদ্যাসাগর মহাশয়েদের পক্ষে সমর্থন সা🍌মান্য হলেও, ব্রিটিশ সরকার মানবিক কারণে সতীদাহ প্রথা বিরোধীতাকে মান্যতা দিয়ে ছিল। পরবর্তীকালে আমাদের সমাজ তা সেচ্ছায় মেনে নিয়েছিল। সব ক্ষেত্রে সংখ্যাটাই বড় নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই অভয়ার ন্যায় বিচার হবে এটা তামাম সুস্থ মানুষের আন্তরিক প্রত্যাশা, অপরাধীদের শাস্তি হবেই।' তৃতীয় জন লেখেন, 'শুধুমাত্র ঢাকই নয়, সেই সঙ্গে প্রত্যেক বাতিস্তম্ভে গড়ে তিন থেকে চারটি মাইক লাগিয়ে দিবারাত্র কানফাটা তীব্র উৎসবের আওয়াজ হয়ে চলেছে।' চতুর্থজন লেখেন, 'স্যার প্রতিবাদে ছিলাম, এবার উৎসবে ফিরছি , তবে প্রতিবাদ ভুলে নয়।'