বলিউডের বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ২ অগস্ট। চারবারের জাতীয় ꦏপুরস্কার জয়ী এই মানুষটা আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানা যায় ময়না তদন্তের রিপোর্টে। শুক্রবার হল শেষকৃত্য। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও বলিউডের কিছু মানুষ যাতে অংশ নিয়েছিলেন। ময়না তদন্তের পর নীতীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নবী মুম্বইয়ের করজাতের ৫২ একর জমির উপর তৈরি তাঁর সাধের এনডি স্টুডিয়োতে। আমেরিকায় থাকা সন্তানদের দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিল পরিবার।
নীতিনের শেষযাত্রায় ছিলেন ছেলে সিদ্ধান্ত এবং মেয়ে মানসী। সমাজের প্রথা ভেঙে বাবার মরদেহ কাঁধে তুলে নেন মানসী। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়োতে মানসীকে তার প্রয়াত বাবার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন: সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে নাম জড়ায় দুজনেরই! নোরার ‘মানহানি’র দাবি ওಞড়াল জ্যাকলিনের আইনজীবী
বলিউড থেকে নীতীন দেশাইয়ের শেষ কাজে উপস্থিত ছিলেন আমির খান, সুবোধ ভাবে, সোনালি কুলকার্নি, আশুতোষ গোয়ারিকর, সঞ্জয় লীলা বনশালিরা। হাম দিল দে চুকে সনম, লাগান, যোধা আকবর, প্রেম রতন ধন পায়ো-র মতো সিনেমার সেট সেজে উঠেছিল তাঁরই হাত ধরে। কাজ করেছেন বিধু বিনোদ চোপড়া, সঞ্জয় লীলা বনসালি, রাজকুমার হিরানি এবং আশুতোষ গোয়ারিকারের মতো পরিচালকদের সঙ্গে। তাই নীতীনের মতো এত গুণী একজন শিল্পীর শেষ কাজে এত কম বলিউড তারকাদের উপস্থিতি প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহলে। আরও পড়ুন: ‘জিৎ ইজ হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ, দেব আমাকে খুব বকাঝকা করে’, ܫঅকপট রুক্মিণী
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলে আমিরকে নীতীনকে নিয়ে বলতে শোনা গেল, ‘খুবই মর্মান্তিক খবর। আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে এটা ঘটল। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এখনও। আমার শুধু মনে হচ্ছে তিনি এটি না করলেই পারতেন এবং পরিবর্তে সাহায্য চেয়ে এগিয়ে আসতে প🍌ারতেন। এত দুঃখজনক পরিস্থিতিতে আমরা কী বা বলতে পারি। পরিস্থিতি কী হয়েছিল এখন তা বোঝা খুব কঠিন। এটা খুবই দুঃখজনক...আমরা এমন একজনকে হারালাম যিনি খুবই মেধাবী ছিলেন।’
এত তারকার সঙ্গে কাজ করা সত্ত্বেও শেষ যাত্রায় কেন ব💝লিউড থেকে কেন এত কম মানুষ এলেন, মিডিয়ার তরফে আমিরের কাছে এই প্রশ্ন রাখা হলে, জবাব আসে, ‘হতে পারে কোনও কারণে কেউ কেউ আসতে পারেননি। আমি নিশ্চিত, সবার মনে ওঁর জন্য বিশেষ জায়গা আছে। ওঁর পরিবারের জন্য আমার তরফে সমবেদনা।’