কমেডিয়ান কুণাল কামরা জানিয়েছেন, ‘গদ্দার’ বা ‘দেশদ্রোহী’ মন্তব্যের জন্য তাঁর কোনও অনুতাপ নেই। মুম্বই পুলিশের কাছে তিনি আরও জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ না দিলে তিনি এই বিষয়ে ক্ষমা চাইবেন না। উল্লেখ্য, কামরার মন্তব্যটি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে-র প্রসঙ্গে বলা হয়েছে𓂃 বলে মনে করা হচ্ছে এবং এই বিষয়ে রাজ্যে শিবসেনিকর্মী ও সরকারি দলের লোকজন ব্যাপক হইচই করছেন। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস সোমবার বলেছেন, ‘স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান কামরা তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে শিন্ডের অপমান করেছেন এবং তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ ফড়নবিস রাজ্য বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, কামরার এই কাজ নিন্দনীয়।
এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কামরা মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি যে ‘গদ্দার’ বা ‘দেশদ্রোহী’ শব্দ ব্যবহার করেছেন, সে জন্য তাঁর কোনও অনুতাপ 🙈নেই এবং আদালত নির্দেশ না দিলে তিনি ক্ষমা চাইবেন না। পুলিশ সূত্র আরও জানিয়েছে, কামরা এই অভিযোগ ও গুজবের খণ্ডন করেছেন যে, একনাথ শিন্ডেকে লক্ষ্য করে তা🌠ঁকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কামরা পুলিশকে তাঁর আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন, যাতে স্পষ্ট হয় যে তাঁকে কেউ টাকা দিয়েছে কি না?
কামরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
মহারাষ্ট্রের ꩲউপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ‘স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান’ কুণাল কামরার বিরুদ্ধে সোমবার মুম্বই পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। মুম্বইয়ের খার এলাকায় অবস্থিত ‘হ্যাবিট্যাট স্টুডিও’-তে শিবসেনা-র প্রায় ৪০ জন কর্মী ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রবিবার মুম্বইয়ের খার এলাকার ‘হ্যাবিট্যাট কমেডি ক্লাব’-এ শিবসেনা কর্মীরা ভাঙচুর করেছিলেন বলে অভিযোগ, যেখানে কামরার অনুষ্ঠানের শুটিং হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানেই কামরা শিন্ডের বিরুদ্ধে ‘গদ্দার’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।
একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ নিয়ে মন্তব্য
২০২২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে-র বিরুদ্ধে শিন্ডের বিদ্রোহের কথা উল্লেꦺখ করে কামরা তাঁর অনুষ্ঠানে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির একটি গানের সংশোধিত সংস্করণ গেয়েছিলেন। ফড়নবিস বলেন, ‘২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে কে গদ্দার আর কে সৎ। মানুಞষ শিন্ডেকে (শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা) বাল ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী বলে মেনে নিয়েছে।’
তিনি ব⭕লেন, মানুষ বাল ঠাকরের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকদের পরাজিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ব্যঙ্গ ও ‘কমেডি’ করার স্বাধীনতা আছে কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে (কেউ কারও) অপমান করার অনুমতি নেই। কামরা রাহুল গান্ধীর কাছে থাকা সংবিধানের সেই লাল বইটি দেখিয়েছিলেন। দুজনেই সংবিধান পড়েননি। সেই বই দেখিয়ে তিনি তাঁর কাজকে যুক্তিসঙ্গত বলে প্রমাণ করতে পারবেন না।’ ফড়নবিস বলেন, ‘সংবিধান বলে, যখন আপনি অন্যের স্বাধীনতায় আঘাত করেন তখন আপনার নিজের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হয়।’ তিনি বলেন, কামরা রাহুল গান্ধীর সংবিধানের (লাল বই) প্রতি দেখিয়ে তাঁর কাজকে যুক্তিসঙ্গত বলে প্রমাণ করতে পারবেন না এবং তিনি কার্যক্রম থেকে বাঁচতে পারবেন না।
পাশে জয়া
অভিনেত্রী এব🐈ং সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সাংসদ জয়া বচ্চন সম্প্রতি চলমান বিতর্কের মধ্যে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান কুনাল কামরাকে সমর্থন করেছেন। সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জয়া বাক্স্বাধীনতার উপর আরোপিত সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জয়া কমেডি ক্লাবের বিতর্ক এবং ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর উদ্ধৃতি দিয়ে অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ বলেছেন, ‘যদি কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে তোমার কী হবে? তুমি ইতিমধ্যেই খারাপ পরিস্থিতিতে আছো। তোমার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তোমাকে বলা হবে শুধুমাত্র এ ব্যাপারে কথা বলো আর কিছু না, যে জয়া বচ্চনকে ইন্টারভিউ করো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা কোথায়? কেবলমাত্র হুলস্থুল করলেই স্বাধীনতা আছে— বিরোধীদের মারধর করো, নারীদের ধর্ষণ করো, তাদের হত্যা করো। আর কী? আপনি (একনাথ শিন্ডে) আপনার আসল দল ছেড়ে ক্ষমতার জন্য অন্য দল গঠন করেছেন। এটা কি বাল সােহেবের অপমান নয়?’ প্রশ্ন😼 তুলেছেন জয়া।