পর্দায় কখনও তিনি চূড়ান্ত রোম্যান্টিক কখনও বা অ্যাকশন হিরো। বহু ছবিতে খারাপ মানুষদের খপ্পর থেকে নায়িকাদের উদ্ধার করে স্বাধীন জীবনের স্বাদ তিনি দিয়েছেন বহুবার। তবে এই ধর্মেন্দ্রই রীতিমত ফতেয়া জারি করেছিল তাঁর ও হেমা মালিনীর দুই মেয়ে এষা এবং অহনার প্রতি। ছোটপর্দার জনপ্রিয় সেলিব্রেটি চ্যাট শো 'রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল'-এ একবার উপস্থিতি হয়ে এই ঘটনার কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন এষা দেওল। সদ্য ১৭ তে পা রাখা এক কিশোরী তখন তিনি। দু'পাশে বসে তখন তাঁর মা হেমা এ𒊎বং ছোট বোন অহনা।
শো চলাকালীন একথা সেকথার মাঝখানে এষাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ভবিষ্যতে বলিউডে তাঁকে দেখতে পাওয়া যেতে পারে কি না? জবাবে সামান্য ইতস্ত করে হেমা-কন্যা জানিয়েছিলেন তাঁর নিজেরও ভীষণ ইচ্ছে অভিনয়কেই পেশা করে বলিপাড়ায় পা রাখতে চান। 'কিন্তু তা তখনই সম্ভব হবে যখন বাবা রাজি হবেন!' অকপটে জানিয়েছিলেন এষা। শুধু তাই নয় ওই কথার জেরে এষার মুখে আরও জানা যায় বাড়ির বাইরে খুꦗব বেশি ঘোরাঘুরি করার অনুমতি তাঁদের দেননা ধর্মেন্দ্র। এমনকি স্লিভলেস কিংবা খাটো কোনও পোশাক পরাও মণ তাঁদের। মুখ ফুটে ধর্মেন্দ্রর ব্যাপারে তিনি আরও বলে ওঠেন, 'বাবা কখনও রাগ করেন না। কিন্তু উনি আমাদের নিয়ে ভারি পজেসিভ। বাবা মনে করেন মেয়েদের বাড়িতেই থাকা উচিত। বাইরে গিয়ে কী হবে। উনি এলে পুরো ঢাকা পোশাক পরে থাকত ইহয় আমাদের। না হলে বিরক্ত হন। ছোট থেকে নাচ শিখেছি তাতে ওঁর আপত্তি না থাকলেও অভিনয়কে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার কথায় দারুণ আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা। যদিও আস্তে আস্তে ফের একবার বাবাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব'।
বড় মেয়ের কথার জের টেনে হেমা বলে উঠেছিলেন নিজের মেয়েদের নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই ধর্মেন্দ্রর।꧟ তিনিও জানান যে বড় মেয়ের বল♉িউডে যাওয়া নিয়ে বিস্তর আপত্তি রয়েছে ধর্মেন্দ্রর। তাঁর আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন 'বীরু'।
তবে শেষপর্যন্ত অভ🌄িনেত্রী হিসেবে ꧋বলিপাড়ায় পা রাখেন এষা। ছবির নাম 'কোই মেরে দিল সে পুছে'। ওই ছবিতে নিজের পারফরমেন্সের জেরে 'সেরা নবাগতা' হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারটিও নিজের ঝুলিতে পুড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-কন্যা। পরবর্তী সময়ে 'ধুম', 'দশ', 'যুবা'-র মতো একাধিক ব্লকব্লাস্টার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।