সম্প্রতি, গলফ খ🌞েলোয়াড় হামজা আমিনের সঙ্গে নিকাহ সেরেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী উশনা শাহ। নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিয়ের ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন উশনা। যেখানে লাল লেহেঙ্গায় সেজে নিকাহ-র রীতি রেওয়াজ পালন করতে দেখা যাচ্ছে উশনা শাহ-হামজা আমিনকে। আর হামজা আমিন পরেছিলেন সাদা শেরওয়ানি। শুধু লাল লেহেঙ্গা পরে বিয়ে নয়, অনুষ্ঠানে নবদম্পতিকে গানের সঙ্গে নাচতেও দেখা যাচ্ছে। তারকা দম্♐পতির বিয়ের ভিডিয়ো দেখে চটেছেন পাক নেটনাগরিকরা।
উশনা শাহ ইনস্টস্টোরিতেও নিজের বিয়ের লেহেঙ্গা পলিশ হাওয়ার মুহূর্ত, এবং হাতে মেহেন্দি করার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত, পাক অভিনেত্রী উশনা শাহর বিয়ের লাল লেহেঙ্গাটি ডিজাইন করেছেন পাক পোশাক ডিজাইনার ব্র্যান্ড ওয়ার্দা সেলিম। এদিকে পাকিস্তানি হয়েও ভারতীয় নববধূর মতো লাল লেহেঙ্গা পরে বিয়ের করার কারণেই বিরক্ত সেদেশের নেটনাগরিকদের একাংশ। তাঁদের আপত্তি রয়েছে নিজের বিয়েতে উশনা শাহ-র নাচ নিয়েও। ট্রোলিংয়ের উত্তর দিতেও ছাড়েনন𒀰ি উশনা। নিজেকে মিসেস আমিন হিসাবে পরিচয় দিয়ে পাক অভিনেত্রী লিখেছেন, 'যাঁদের আমার পোশাক নিয়ে আপত্তি রয়েছে, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের আমার বিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়ꦕনি। এমনি আর লাল রঙের অর্থ তুলে ধরার জন্য টাকাও দেওয়া হয়নি। আমার বিয়ের গয়না, জোর সবকিছুই পাকিস্তানি। আর আমার হৃদয় অর্ধেক অস্ট্রেলিয়ান (একথা নিজের স্বামীর প্রতি ইঙ্গিত করে লিখেছেন উশনা, তাঁর স্বামী হামজা আমিন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। আল্লাহ আমাদেরকে সুখী করুন। আমার বিয়েতে আমন্ত্রিত এবং আমন্ত্রিত নন, এমন সমস্ত ফটোগ্রাফারদেরই আমি সালাম জানাচ্ছি।'
এদিনে উশমান শাহ ট্রোলারদের জবাব দিলেও পাক নেটনাগরিকরা তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। কেউ লিখেছেন, ‘পাকিস্তানিদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ধর্ম রয়েছে। পাকিস্তানে ভারতীয় সংস্কৃতি আমদানি করার চেষ্টা বন্ধ করুন। আমরা মুসলিম এবং আমাদের ধর্ম আমাদের এসবের অনুমতি দেয় ন📖া। এই ধরনের জিনিস পরা এবং নেতিবাচকতা ছড়ানো বন্ধ করুন।’ আরেকজন পাক নেট নাগরিক টুইটে লিখেছেন, ‘কেন পাকিস্তানি বধূরা এমন ভারতীয় স্টাইল পরতে শুরু করেছেন? এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়!!’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘এঁরা পাকিস্তানি সংস্কৃতির নামে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার করে জনগণকে বোকা বানাচ্ছেন। এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্যগত মূ🌳ল্যবোধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকেও নষ্ট করে। এটা আমাদের মেনে নেওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও পাকিস্তান-ভিত্তি🦄ক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে উশনার বিয়ের ভিডিয়ো শেয়ার হওয়ায় সেটি মুছে ফেলারও আবেদন করা হয়েছে। আবার অনেকেই উশনার সমর্থনে মুখে খুলেছেন। উশনার অনুরাগীদের একজন লিখেছেন, আল্লাহ উশনাকে খুশি রাখুন আর ট্রোলারদের অখুশি-ই থাকতে দিন। কারোর মন্তব্য আমরা কি ইতিবাচক ভালোবাসার বার্তা ছড়াতে পারি না?