পল্লবী দে রহস্যমৃত্যুর মামলায় মঙ্গলবারই প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে গরফা থানার পুলিশ। সোমবার পল্লবীর সঙ্গী এবং নায়িকার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার রাতভর দফায় দফায় জেরা করা হয় সাগ্নিককে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। আজ, বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। পল্লবীর পরিবারের তরফে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। পল্লবী-সাগ্নিকের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পেয়েছে পুলিশ। গরফার ফ্ল্যাটে সাগ্নিক-পল্লবীর পরিচারিকাক সেলিমাকে দফায় দফায় জেরা করেছে পুলিশ। দুজনের মধ্যে প্রায়শই মনোমালিন্য হত সেকথা মেনে নিয়েছে উভয়ের পরিবার। রবিবার সকালে সাতটা ও আটটা নাগাদ সেলিমাকে ফোন করেছিল পল্লবী। সাগ্নিক ছাড়া, শেষবার সেলিমার সঙ্গেই কথা হয় তাঁর। ওইদিন পরিচারিকা কাজে যাবে না, এমনটা জানিয়েছিল। এই নিয়ে রাগ করে ফোন কেটে দেন পল্লবী। অন্যদিকে পুলিশি জেরায় সাগ্নিক জানিয়েছে, পরিচারিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় পল্লবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে সিগারেট খেতে চলে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। ঠেলাঠেলির পরও না খুললে কি লক দিয়ে ঘরের ভিতরে চোখ রেখে দেখেন পল্লবী ঝুলছে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে। তড়িঘড়ি কেয়ারটেকারকে ডেকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন তিনি তারপর প্রেমিকাকে। খবর দেন পুলিশেগত রবিবার গরফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মরদেহ। গত দু-মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই ওই ফ্ল্যাট থাকছিলেন দুজনে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে জড়িয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।