আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি কেন বারবার সকলকে সচেতন হয়ে থাকার নির্দেশ দিলেন? গোটা 🀅ঘটনার জন্য দায়ী করলেন কাকে?
আরজি কর নিয়ে কী বললেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শুরুতেই বলেন, '১৪ তারিখে দেখেছিলাম লক্ষ লক্ষ মা বোনেরা পথে নেমেছেন। বাংলায় নয় খালি, দেশে,ꦦ বিদেশেও। এমনটা আগে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমার জীবনে এই দৃশ্য আগে দেখিনি। স্বাধীনতার আগের রাতে পরাধীনতার শৃংখল ভাঙার গান গাওয়ায় আবার এগিয়ে ছিল বঙ্গনারী। সকলের একটাই দাবি ছিল জবাব চাই, বিচার চাই।'
তিনি একই সঙ্গে বলেন, 'যাঁরা এই নারকীয়, দানবীয়, পাশবিক ঘটনা ঘটিয়েছে এই সমাজে তাঁরা কিন্তু একটা সাহায্য পেয়ে, শক্তির অবলম্বন করেই এই অত্যাচারী ঘটনা ঘটিয়েছে। সবাই বুঝতে পারছে এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। তাই এটার বিচার চেয়েছে। তাও একটা কথা বলতে চাই, যে প্রতিরোধ, যে ভাষা ধ্বনিত হ🀅য় যে সেটা যেন না থামে। যাঁরা এটা ঘটিয়েছে তাঁরা জানে মানুষ কিছুদিন পর ভুলে যাবে। কদিন ঘাপটি মেরে থাকার পর আবার সেই সাহায্য নিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরবে। পুজোর আগে আবার এই হায়নারা অন্ধকার জঙ্গল পেয়ে যাবে। তাই এই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ থামালে চলবে না। কণ্ঠ যেন রুদ্ধ না হয়ে যায় সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। বিচারের💎 বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।'
তিনি এদিনꦉ বাংলার নারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন তাঁরা যেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত না থামে, তাঁদের পাশে অগণিত জনগণ আছে। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিশেষে বলেন, 'আমার তো পৃথিবী ছাড়ার সময় হয়েই এসেছে। কিন্তু তাও ছাড়ব না। তোমাদের পাশেই আমি থাকব।'
অনেকেই পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথায় সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 🌳'কি সুন্দর ও প্রয়োজনীয় কথাগুলো বললেন আমাদের প্রিয় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মা বোনদের অভিবাদন।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ভালো থাকবেন আপনি। এতদিন আপনার অভিনয় আমাদের মুগ্ধ করেছে। আজ আপনার এই সুন্দর অভিব্যক্তি মুগ্ধ করলো। সত্যি আজ আমরা বড় বিপর্যয়ের মুখে। এর আগে এরকম শুনিনি। বাকরুদ্ধ সকলে। এটা কি সভ্য জগতে বাস করি। এর মধ্যে ডাক্তার জড়িত বলে আরো হতবাক।'