কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে ডিভোর্সের প🥂র থেকেই বিশেষ করে চর্চায় এসেছেন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং এক সাক্ষাৎকারে প্রক্তন স্বামীর তৃতীয় বিয়ের পর, কোনওরকম কাদাꩵ ছোঁড়াছুঁড়িতে যাননি তিনি। বরং ডিভোর্স, ফেলে আসা সংসার, একা হাতে ছেলেকে বড় করা নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন যে, যা নিয়ে আলাদাই ফ্যানবেস তৈরি হয় তাঁর। নেটিজেনদের একাংশের কাছে তিনি এখন অনুপ্রেরণা।
অভিনয়ের পাশাপাশি আনবাক্স বলে একটি ইউ🦩টিউব চ্যানেল চালান পিঙ্কি। সেখানে পিকাসোর ছবি থেকে রবীন্দ্রনাথ, নানা বিষয় নিয়ে চর্চা থাকে। বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে পিঙ্ꦜকির সেই চ্যানেল।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক পিঙ্কি। ছোট থেকে অভিনয়ের পরিবেশেই বড় হয়ে ওঠা। নিজেও কাজের মাধ্যমেই পরিচয় পেয়েছেন। পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে হয়তো ছেলে নিয়ে ডিভোর্সের পর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হত না। যা নিয়ে সম্প্রতি chorkanta নামক একটি পডকাস্টে এসে কথা বললেন অভিনেত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেক মেয়েরা অনেক কিছু সহ্য করতে বাধ্য হয়, কারণ তাঁদের কোথাও যাওয়ার নেই। আমাদের বাড়িতে ছেলে হোক বা মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজেকে স🐷্থিতু করবে, তারপর বিয়ে করবে। মেয়ে মানে পরিবারের বোঝা ন𒁃য়। এমন একটা পরিবার পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমি তাই কোনও কিছুতেই ভেঙে পড়িনি। আমার বাবা এয়ারফোর্সে ছিল। মা গোল্ডমেডেলিস্ট। কিন্তু উনি বাড়িতে থেকে বাচ্চাদের বড় করারই সিদ্ধান্ত নেন।’
তবে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণে বিগত কয়েকবছরে বা🌊রবার তাঁর ব্যক্তিগত জীবন চর্চায় উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তগত জীবন। যা নিয়ে সম্প্রতি chorkanta নামক একটি পডকাস্টে এসে কথা বললেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘মিডিয়ার অনেক সাপোর্ট পেয়েছি এই সময়ে। আমাকে যে মহিলারাই ফোন করতেন, এত ইতস্তত করতেন তাঁরা, বলতেন আমার খারাপ লাগছে আপনাকে এসব প্রশ্ন করতে। আমি বলতাম, আপনি সাংবাদিক আপনাকে প্রশ্ন তো করতেই হবে। আমিও চেষ্টা করব যতটা সৎ থেকে উত্তর করা যায় সেটার।’
কাঞ্চন মল্লিকের প্র⛎াক্তন স্ত্রী বলে যেভাবে তাঁর পরিচিতি দেওয়া হয়, তা কি তাঁর অভিনয় সত্তাকে খাটো করে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি কাঞ্চনবাবুর স্ত্রী হয়ে জন্মাইনি। আমি কাঞ্চনবাবুর স্ত্রী হয়ে ইন্ডাস্ট্রিতেও আসিনি। আমার প্রথম কাজ সোনায় সোহাগা। আমাকে যিনি দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন, তিনি তনিমা সেন। আমি একটা সঞ্চালনা করছিলাম, সেখানে আমাকে দেখে তনিমাদির আমাকে পছন্দ হয়। রূপসী বাংলাতে একটা হাসির সির☂িয়াল আসছিল। আমি অডিশন দেই। সিলেক্টেড হই।’
তার আগে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ছিলেন হায়দ্রাবাগে বলে জানান পিঙ্কি। সেখানে আইটিসি-তে কাজও করেন। অফিসেরই এক কর্পোরেট ইভেন্টে সঞ্চালনা দিয়ে শুরুটা হয়েꩵছিল। এরপর সঞ্চালনার অফার পেতে শুরু করেন। এরপর ছুটিতে কলকাতা এসে দুর্গাপুজোয় শো করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে নিজের নাম করেন বিনোদন জগতে।
chorkanta-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারেই পিঙ্কিকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘জীবনে ওট🤡া-পড়া, চলা সব থাকবে। শুধু থামতে আমি শিখিনি। যখন তুমি একা থাকো, তখন নিজের সঙ্গে থাকো। নিজের সঙ্গে কীসের ভয়!’