আসছে অযোগ্য। মাঝে আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তারপরই মুক্তি পাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জুটির ৫০ তম ছবি। সেই ছবির মুক্তির আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে কাজ থেকে শুরু করে কৌশিক🍃 গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ নিয়ে কী বললেন প্রসেনজিৎ? বাণিজ্যিক ছবি নিয়েই বা কী মত তাঁর?
প্রাক্তন, দৃষ্টিকোণের দুর্দান্ত সাফল্যের পর ৫০ তম ছবিটিও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেই। এটা কি পরিকল্পনা করেই করেছেন প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা? এই বিষয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমরা যখন নিয়মিত বাণিজ্যিক ছবি করতাম তখন আমরা একটানা পর পর ৪৬ টি ছবিতে🍸 কাজ করেছি। তারপর একটা লম্বা বিরতি মানে প্রায় ১৪ বছর পর প্রাক্তন ছবিতে কাজ করি যা তুমুল সফল হয় বক্স অফিসে। এরপর আবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের আরেক ছবি দৃষ্টিকোণে কাজ করি। তো প্ল্যান করে ৫০ তম ছবি পর্যন্ত পৌঁছইনি। এটা দর্শকদের আশীর্বাদ। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম আমাদের এই ৫০ তম ছবিটা কৌশিক, শিবপ্রসাদ (মুখোপাধ্যায়) নন্দিতা (রায়) বা সৃজিত (মুখোপাধ্যায়)-ই করতে পারে।' তিনি এই বিষয়ে আরও জানান, ' কৌশিকই এসে জোর করে যে এটা আমি করতে চাই। চলো করে দেখাই। আর আমায় আর ঋতুকে (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) নিয়ে কাজ করতে গেলে ভালো পরিচালকের প্রয়োজন আছে। আর কৌশিক তেমনই একজন যে বাংলা সিনেমায় এই ভার বহন করতে সক্ষম। তাছাড়া ও ভীষণ ভালো গল্প বলে।'
জ্যেষ্ঠপুত্র থেকে অযোগ্য, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, 'আমি অনেক পরিচালকদের সঙ্গেই ꦫকাজ করেছি। তবে কৌশিকের সঙ্গে তখনও কাজ করে ওঠা হয়নি। মনে আছে একবার ফিল্মফেয়ারের একটি মঞ্চে প্রাইজ পাওয়া পর আমি ওকে বলেছিলাম ৩-৪ টে ফিল্মফেয়ার পেয়ে গেছি এবার তো তোমার ছবিতে নাও। তো প্রথমে হচ্ছিল না আমাদের একসঙ্গে কাজ করে ওঠা। কিন্তু কিশোর কুমার জুনিয়র থেকে জ্যেষ্ঠপুত্র, দৃষ্টিকোণ শুরু হতেই এতদূর চলে এলাম। ও আসলে খুবই ভালো অভিনেতা। ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেতা। আর অভিনেতা যদি পরিচালক হয় তাহলে সে কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। ভীষণ ভালো এবং বড় মাপের পরিচালক কৌশিক। কিন্তু কাউকে কখনও বকে না। চেঁচায় না। গোটা টিম যেন ওর কাছে পরিবারের মতো।'
আরও পড়ুন: 'আমাকেও ওঁর মতো দরিদ্র বানান যাতে নিউ ইয়র্ক যেতে পারি', অভিষেককে কট🦋াক্ষ অরিত🥂্রর
আরও পড়ুন: 'জীবনের খাতার শে♓ষ পাতায়...' বিপুল ভোটে জয়, তব🔜ুও কেন এমন বললেন দেব?
বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে কী মত প্রসেনজিতের? এই বিষয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'বাণিজ্যিক ছবি কী, কাকে বলে? আমার কাছে সর্বকালের সেরা বাণিজ্যিক ছবি পথের পাঁচালি। এটা এখনও ব্যবসা দেয়। হয়তো সিনেমার ভাষা বদলেছে, ধরন বদলেছে। কিন্তু বাণিজ্যিক ছবি যদি কাজ না করে তাহলে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিটাই আর বাঁচবে না। অটোগ্রাফ, বাইশে শ্রাবণ, বেলাশেষে, প্রাক্তন, এগুলো সবই বাণিজ্যিক ছবি। অ্যানিম্যাল, পুষ্পাও ভীষণ ভালো বাণিজ্যিক ছবি। শাহরুখের ছবিও বহু বছর পর এভাবে হিট করল। বহু বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পর এটা মাদের দায়িত্ব হয়ে যায় যে তাকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়া ♈উচিত।'
কেরিয়ারের এত বছর পার। এখনও কী প্রসেনজিৎকে অনুপ্রেরণা জোগায়? বুম্বꩲাদা এই বিষয়ে জানান, ' যেদিন আর আগ্রহ পাব না সেদিন থেকে আর অভিনয় করব না। এছাড়া এখনও কাজ করি যে কাজগুলো এখনও করে উঠতে পারিনি সেগুলো করার জন্য সেটা কোনও চরিত্র হতে পারে, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেকে ভেঙে নতুন করে প্রমাণ করা হতে পারে, বা অন্য কিছু।'