শ্বশু💙রকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই কি পালিয়ে গেলেন বৌমা? অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিংকে তাঁর শ্বশুর, প্রযোজক বাসু ভাগনানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে চলে যান। গত কয়েক মাস ধরেই বাসু ভাগনানির বিরুদ্ধে বকেয়া না মেটানোর অভিযোগ উঠছে। আর এখন সংবাদসংস্থা নিউজ ১৮ দ্বারা শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে, রাকুল প্রীতকে আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র একাডেমি (আইফা) ২০২৪ এর সবুজ গালিচায় টেলিভিশন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। আর সেখানেই ঘটে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: (নিজেকে🤪 নিজেই বিয়ে করার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আত্মহত্যা তরুণীর! নেপথ্যে কোন কারণ?)
ঠিক কী আচরণ করলেন রাকুল?
ক্লিপটিতে✤ দেখা যায়, রাকুল প্রীতকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দে দে পেয়ার দে ২-এর শ্যুটি✨ং কেমন চলছে। হাসতে হাসতে তিনি উত্তর দেন, 'খুব ভালো'। এরপর এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘বাসু স্যারকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচুর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, এবং অনেকেই বলেছেন যে…’। কথা শেষ হতে না হতেই এমন সময় রাকুল প্রীত হাসি থামিয়ে 'দু:খিত' বলে চলে যান। এড়িয়ে যান এই সম্পর্কিত প্রশ্ন। এই অনুষ্ঠানের জন্য রাকুল প্রীত নিজেকে সাজিয়ে তোলেন অলিভ গ্রিন রঙের বডিকন ড্রেসে।
বাসু ভাগনানির বিষয়ে
বাসু ভাগনানির প্রযোজনা সংস্থা পূজা এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ছবির কলাকুশলীদের বকেয়া বাকি রাখা🐼র অভিযোগ রয়েছে। কয়েক মাস আগে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের সভাপতি বিএন তিওয়ারি জানিয়েছিলেন, 'মিশন রানিগঞ্জ', 'গণপথ' ও বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ, এই তিনটি ছবিতে কাজ করা কলাকুশলীদের বাসু ভাগনানির কাছে ৬৫ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে।
কিছুদিন আগে বাসু ভাগনানির বিরুদ্ধে ওঠꦺা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিএন তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে টিনু দেশাইয়ের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাই। মিশন রানিগঞ্জের জন্য তাঁর প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা বকেয়া ছিল। পরে বাসু ভাগনানি কিছু সময় চেয়ে বলেন, এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হবে। আমাদের অভিজাত শ্রমিক ইউনিয়নের বেতনের কিছু অংশ এক মাস পরে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু টিনু দেশাইয়ের বেতন এখনও বকেয়া রয়েছে।’
আরও পড়ুন: (দিদির হাত জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট জেহ, ইনায়ার জন্মদিনের আদুরে পোস্ট কী লিখলেন ‘🐼মামী’ করিনা)
পরিচালক আলি আব্বাসಌ জাফরের আরও একটি অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই পরিচালককে অক্ষয় কুমার-টাইগার শ্রফ অভিনীত বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ পরিচালনার জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঋণ পরিশোধে দেরি হচ্ছে এবং যথাযথ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই সময়ে আমরা অপেক্ষা করছিলাম, আর তখনই আলি জাফরের কাছ থেকে ৭.৫ কোটি টাকার অভিযোগ পাই। এফডব্লিউআইসিই সভাপতি✤ আরও দাবি করেছেন যে পরিচালক বিকাশ বহেলের পাওনার মতো অন্যান্য বকেয়া এখনও বাকি রয়েছে। উল্লেখ্য এই পরিচালককে ‘গণপথ’ ছবির জন্য ২.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি।