‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে তিনি এখন সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। অনুজ বা বর্তমানে ‘অঙ্কুশ’ হয়েই তিনি যেন বাংলার, বাঙালির ড্রয়িং রুমের সদস্য হয়ে উঠেছেন। কিন্তু যে রণজয় বিষ্ণুকে আমরা সবাই অভিনেতা হিসেবেই চিনি না জানি জানেন কি তꦛিনি এর আগে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? কী চমকে উঠলেন এটাই কিন্তু সত্যি।
আসলে এখন রণজয় সিরিয়াল, কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। কোনও কোনও দিন একটানা ১২-১৪ ঘণ্টা শুট করার পর হয়তো আলাদা করে তিনি নিজের জন্য সময় পান না। বাধ্য হয়েই নিজের পছন্দের জিনিস বা হবির থেকে দূরে থ൩াকতে দেখা যায়। কিন্তু সময় পেলেই তিনি তাঁর ফেলা আসা দিনে, পছন্দের কাজের কাছে ফিরে যান। নিশ্চয় ভাবছেন এতক্ষণ কী হেঁয়ালি করছি! তাহলে জানাই রণজয় কিন্তু দুর্দান্ত ছবি আঁকেন।
কাজের মাঝে যেদিন যখন ছুটি পান নিজের এই পুরনো অভ্যাস, অর্থাৎ রং তুলি ক্যানভাসের কাছে ফিরে আসেন। ছবি আঁকেন। সম্প্রতি সেটারই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন অভিনেতা। এই ভিডিয়োর সঙ্গে তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ🦂ᩚ𒀱ᩚᩚᩚকথা রাখেনি কেউ কথা রাখে না’ কবিতাটির বেশ কয়েকটি লাইন ক্যাপশন হিসেবে লেখেন।
তবে চেনা অভিনেত♔ার অচেনা এই রূপ দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। এক ব্যক্তি লেখেন, 'কী ভালো। এ যে লুকানো প্রতিভা।' আরেক ভক্ত লেখেন, 'আর কী কী শৈল্পিক কাজ কর্ম জানেন আপনি? এত ভালো অভিনয় করেন, তার সঙ্গে সামাজিক কাজ কর্ম, আবার ছবি আঁকাও!'
নিজের এই হিডেন ট্যালেন্ট প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেতা জানান, 'আমি অভিনেতা হওয়ার আগে আঁকা শেখাতাম। আঁকা শিখিয়েই রোজগার করতাম। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে তো আঁকা শেখানোটা দীর্ঘদিন ধরে পেশা হতে পারে না, বা ♑রোজগার বেশি সম্ভব নয়। তখনই অভিনয় আসা। তার আগে আমি আঁকা শেখাতাম।'
এই বিষয়ে বলে রাখাജ ভালো দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে আঁকা শিখেছেন রণজয়। সম্𝓡প্রতি তাঁর সিরিয়াল গুড্ডি ৫০০ পর্ব পার করল। এখন ধারাবাহিকে তাঁদের বিয়ে দেখানো হচ্ছে। নাম পরিচয় বদলে তিনি এখন নতুন মানুষ হয়ে ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছেন।