সম্প্রতি, ভারতে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যান্স জ্যাকব ফ্রাইডেনলুন্ড রানি মুখোপাধ্যায়ের অভিনীত মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে নিয়ে বিবৃতি জারি করেছিলেন। যেখানে তাঁর দাবি ছিল, ছবিটি একটি সত্য ঘটনার ‘কাল্পনিক উপস্থাপনা’, যাতে রয়েছে কিছু বাস্তবিক ভুল। এবার তাতে প্রতিক্রিয়া এল রানির তরফে। অভিনেত্রী সোজাসাপটা জানালেন যে ছবির উদ্দেশ্য কোনও নির্দিষ্ট দেশকে ভিলেন করা নয়। ‘প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত রাখার অধিকার রয়েছে। এই ছবিটি আসলে কাউকে অপমান করার জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি একটি মায়ের গল্প যা অনেক লোককে বলা এবং দেখানো দরকার ছিল। বিশ্বে এই ধরনের গল্পগুলি সম্পর্কে মানুষের সচেতন হওয়া দরকার’, বলেন রানি। আরও যোগ করেন, ‘টি একটি সত্য গল্পের অবলম্বনে তৈরি। এবং ছবিটির অভিপ্রায় যে মতামত দেওয়া হয়েছিল তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটা একটা মায়ের জার্নি।’অশিমা চিব্বরের এই সিনেমাটি সাগরিকা চক্রবর্তীর গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যার সন্তানদের নরওয়ের শিশু কল্যাণ পরিষেবা ‘অনুপযুক্ত পিতা-মাতা’র ট্যাগ গায়ে সাঁটিয়ে কেড়ে নিয়েছিল তাঁর থেকে। এবং কীভাবে সেই মা নিজের সন্তানদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল সেই গল্পই বলে। দিনকয়েক আগে হ্যান্স জ্যাকব ফ্রাইডেনলুন্ড সোশ্যাল পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এটি নরওয়ের পারিবারিক জীবনের উপর বিশ্বাস এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি সম্মানকে ভুলভাবে চিত্রিত করে।’ তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেছিলেন, ‘এটা আমার কর্তব্য নরওয়েজিয়ানদের অফিসিয়াল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা এবং বাস্তবিক ভুলত্রুটিগুলিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা। যা এই সিনেমায় দুর্ভাগ্যবশত দেখানো হয়েছে... আমি আশা করি এই সিনেমাটি যা, তার জন্য এটি দেখবে দর্শক এবং নিজেদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বুঝবে এটি একটি কাল্পনিক উপস্থাপনা।’রানি হ্যান্স জ্যাকবের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, ‘সিনেমায় স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে যে কখনই প্রধানরা নয়, বরং কিছু মানুষ সিস্টেমের সুবিধে নিচ্ছে কীভাবে। প্রত্যেকেই তাদের নিজের দেশ সম্পর্কে স্পর্শকাতর এবং দেশের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। কিন্তু এখানে তার চেয়েও বেশি দরকারি বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটানা প্রত্যক্ষ করা।’এক সন্তানের মা রানি ‘কাল্পনিক’ দাবিতে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, ‘আমার মতো একজনের জন্য, যিনি একজন ভারতীয় নাগরিক, আমার ভারত সরকার এর সাথে জড়িত থাকলে আমি কী বুঝব? এটি একটি কাল্পনিক গল্প হতে পারে না কারণ আমার সরকার সেই শিশুদের মায়ের সাথে একত্রিত করতে সাহায্য করেছে। সুতরাং একজনের কিছু মন্তব্যে, বদলে যেতে পারে না যেই ঘটনা বা যেই গল্পকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’বলে রাখা ভালো শুধু ভারত নয়, নরওয়েতেও এই ছবি ভালো ব্যবসা করেছে। তা উল্লেখ করে রানি বলেন, ‘এই সিনেমা কখনওই কোনও দেশের সমালোচনা করে না। বরং সেই ব্যবস্থার সম্পর্কে কথা বলে যেখানে আরও একটু সংবেদনশীল হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’গোটা ঘটনার এক দশক পেরিয়ে গেলেও বাস্তবের মিসেস চ্যাটার্জি সাগরিকা আশা করেন নরওয়ে সরকার তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে মানসিক আঘাত করার জন্য। আর রানির বিশ্বাস তাঁর এই সিনেমা নরওয়ে সরকারের উপর তা করতে চাপ দেবে। (এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)