বহু হিট ছবির নাকিয়া তিনি, পরবর্তী সময়ে 'ব্ল্যাক'-এর মিশেলের চরিত্র অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। পরে 'মর্দানি', ‘হিচকি’-র মতো ছবিগুলিকে একাই বক্স অফিসে সাফল্যের দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে গিয়েছেন। ফের দর্শক দরবারে হাজির হচ্ছেন বস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে’ ছবির হাত ধরে। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৭ মার্চ। আবারও নারী কেন্দ্রিক ছবিতে চমকে দিতে চলেছেন 🎀তিনি ট্রেলার দেখে এমনই আশা ফিল্ম সমালোচকদের।
তবে ছবির প্রচারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, মাতৃত্ব নিয়েও মুখ খুলেছেন রানি। তাঁর কথায়, ‘আদিরার জন্মের পর মানুষ হিসাবে আমি সম্পূর্ণ বদলে গি🧸য়েছে, আর একথা অনেকেই আমায় বলেছেন। আমি আত্ম-বিশ্লেষণ করছি না। তবে আমার স্বামী আদিত্য প্রায়ই বলেন আদিরার জন্মের﷽ আগে আমি যেমনটি ছিলাম তেমন আর নেই। সুতরাং, আদিরার আগে আদিরার পরে রানি দুইরকম মানুষ। আমার মনে হয় বেশিরভাগ মায়ের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। কারণ মা হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরাও কারোর মেয়ে এবং মা হওয়ার পর আমরা শুধুই মা। মাতৃত্বের প্রথম দিন থেকেই শরীর বদলে যায়, এছাড়াও মানসিক,আবেগের বদল তো ঘটেই। আপনি তখন এমন একজনে রূপান্তরিত হন যিনি অনেকবেশি দায়িত্বশীল, নিজের থেকে অন্য একটি জীবন নিয়ে বেশি সচেতন হয়ে ওঠেন।’
র൲ানির কথায়, ‘আমি এখন এমন একজন মানুষ, যেটা আমি ছিলাম না। আমার ঘুম হারিয়ে গেছে। আদিরার জন্মের আগে আমি যেভাবে ঘুমোতাম, এখন আর পারি না। রাতেও ঘুমোই না। কারণ অবচেতন মনে ঘুরতে থাকে একটা ভাবনা, আদিরা ঠিক আছে তো! হ্যাঁ, আদিরা একদম ঠিক আছে। অনেকে হয়ত ভাবছেন আমি অতিরঞ্জিত করে বলছি, তবে আপনি যেকোনও মাকে এই কথা জিগ্গেস করবেন, ওঁরা একই কথা বলবে। আপনার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু তখন আপনার সন্তান। যদিও মানুষ আসলে নিজেকেই সবথেকে✤ বেশি ভালোবাসে, মনে করে আমি সবার আগে।’
রানি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকেই শেখান, আগে নিজের জন্য ভাবুন, নিজেকে খুশি রাখুন, তাহলেই সকলকে ভালো রাখতে পারবেন। কিন্তু মা হওয়ার পর এই সব শিক্ষা জানালা দিয়ে উড়ে পালাবে, সবসময়ই সন্তানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবেন। তবে আমনি যতটা সন্তানকে নিয়ে ভাবছেন, ও কিন্তু বাবা-মাকে নিয়ে সেটা ভাবছে না। যদি এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। তবে ব্যক্তি বিশেষে হয়ত কিছু কিছু বিষয় বদলে যায়। প্রতিটি মায়ের কাছে তাঁর সন্তানই সেরা। আর ব্যক্তিগত জীবন♑ে আমি একজন মেয়ের মা, আর এর থেকে বড় পওনা আমার কাছে আর কিছুই হতে পারে না।’