সালটা ছিল ১৯৮২, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ ও অভিনেত্রী রত্না পাঠক। 🌳দীর্ঘ ৪২ বছরের সুখী বিবাহিত জীবন তাঁদের। সেসময় ভিন ধর্মে বিয়ে মোটেও সহজ ছিল না। তার উপর নাসিরউদ্দিন ছিলেন ডিভোর্সি। প্রথম স্ত্রী মানারা সিক্রির সঙ্গে নাসিরের একটা মেয়েও ছিল। তাই এই বিয়েকে কীভাবে দেখেছিল রত্না ও নাসিরুদ্দিনের পরিবার? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ♓সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন রত্না পাঠক শাহ।
ভিনধর্মে বিয়ে
নাসিরউদ্দিনকে 🎉বিয়ে নিয়ে রত্না পাঠক বলেন, 'আমার বাবা পুরোপুরি খুশি ছিলেন না, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের বিয়ের আগেই তিনি মারা যান। মা এবং নাসিরের মধ্যে𓄧 সম্পর্ক পাথুরে ছিল তবে ওরা ঠাণ্ডা হয়ে যায়, ধীরে ধীরে তাঁরাও একে অপরের বন্ধু হয়ে যান। '
রত্মা আরও বলেন, 'অদ্ভুতভাবে এই বিয়ে নিয়ে নাসিরের পরিবার কোনও হইচই করেনি। তাঁরা একবারের জন্যও কেউ 'C' (Convert) অ্যালফাবেটটি উচ্চারণও করেননি, বলেননি যে ধর্মান্তরিত হতে হবে। আমাকে নিয়ে কেউই কিছু বলেনি। আমি যেমন ওরা আমাকে সেভাবেই গ্রহণ করেছিল। এক্ষেত্রে আমি সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ আমি এমন লোকজনের কথাও যাঁদের এধরনের বিয়ে নিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বরং ধীরে ধীরে আমার শাশুড়িসহ না♒সির✅ের বাড়ির সকলেই আমার বন্ধু হয়ে ওঠে। অথচ এরাঁ সকলেই কিন্তু গৃহী ছিলেন, কেউই কর্মরতা ছিলেন না, তারপরেও ওঁরা সমস্ত খুব পরিস্থিতিতেই ভীষণ উদার, স্বাধীনচেতা ছিলেন।'
নাসিরুদ্দিন শাহ ও রত্না পাঠক
অভিনেতা নাসিরুদ্দিনের ও তাঁর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সুন্দর সম্পর্ক প্রসঙ্গে রত্না বলেন, ‘এই সম্পর্কে শুধু একে অপরের কথা শুনুন। একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। আমি ওঁকে এবং ওর সংগ্রামকে নিজের চেয়েও অনেক বেশি সম্মান করি কারণ আমি সবকিছুই সহজে𓂃 পেয়েছি। তবে নাসির বিশেষ ঐতিহ্যগত, বিশেষ ধরনের পটভূমি থেকে এসেছে।’
সফল দাম্পত্য জীবনের গোপন রহস্🏅যের কথা বলতে গিয়ে রত্না বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের শুরুতেই নাসির আমাকে বলেছিল যে ෴এই সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা, এমন কোনো লেবেল না লাগানোই ভালো। কারণ, কোনও কেন লেবেল থাকলেই আপনি নিজেকে সেভাবেই ভাবতে শুরু করবেন। আর সৌভাগ্যবশত, আমরা এটা আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে এভাবে করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৫৭ সালের ৭ আগস্ট একটা গুজরাটি হিন্দু পরিবারে জন্ম হয় রত্নার। তাঁর বাবা-মা ছিলেন বলদেব পাঠক এবং অভিনেত্রী দীনা পাঠক। তাঁর ছোট বোন সুপ্রিয়া পাঠক🍸ও একজন অভিনেত্রী। রত্না মুম্বইয়ের দাদারের জে বি বাছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার ১৯৮১ ব্যাচের সদস্য।
১৯৮২ সালে নাসিরুদ্দিন শাহকে বিয়ে করেন রত্না। তাঁদের দুই ছেলে ইমাদ শাহ ও ভিভা𝄹ন শাহ। ইমাদ এবং ভিভ𓄧ানও অভিনেতা। নাসিরুদ্দিনের প্রথম স্ত্রী মানারা সিক্রির সঙ্গে হীবা শাহ নামে এক মেয়ে রয়েছেন।