বিয়ের পর প্রথম পুজো রূপাঞ্জনা মিত্র ও রাতুল মুখোপাধ্য়ায়ের। এই সময় অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে তাঁরা জানান, এবছর তাঁরꦛা ভে🍒বেছিলেন, ছেলেকে নিয়ে অন্যভাবে কাটবেন পুজো। কিন্তু এবারের পুজোটা যে ভাবে কাটাবেন বলে ভেবেছিলেন, সে ভাবে কাটাতে পারছেন। কারণ আরজি কর কাণ্ডের জেরে উৎসবে মন নেই তাঁদের। তাঁদের কথায়, ‘যাঁদের কোল খালি হল, তাঁদের ঘরে জ্বলবে না আলো। তবে দেবীকে বরণ করবেন রূপাঞ্জনা। সব মিলিয়ে এইবছরের রূপাঞ্জনা-রাতুলের প্ল্যান কী তা জানলেন তারকা দম্পতি।
আরজি কর কাণ্ড থেকে ইন্ডাস্ট্রির কেশসজ্জা শিল্পীর ঘটনা, সব কিছুতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে রাতুল-রূপাঞ্জনাকে। তাই এ বছর পুজোয় প্ল্যান সেভাবে নেই তাঁদের, তবে রূপাঞ্জনার গ্রামের বাড়িতꩲে পুজো হয়, সেখানে কর্তব্য পালনের জন্য যেতে হবে অভিনেত্রীকে।
আরও পড়ুন: ধর্ম♚া প্রোডাকশনের সব সি𝕴নেমার প্রি-রিলিজ স্ক্রিনিং বন্ধ করলেন করণ জোহর, জিগরা মুক্তির আগেই বড় সিদ্ধান্ত
এ প্রসঙ্গে রূপাঞ্জনা বলেন, ‘কী বলি বলুন তো! ছেলের জন্য কিছু জামাকাপড় কিনেছি। ঠিক যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই। পুজোর জন্য সকলে📖ই মু꧅খিয়ে থাকে সারা বছর। আমরাও তাই। তবে এ বছর একেবারে আলাদা। আমাদের ঝাড়গ্রামের বাড়িতে পুজো হবে। সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। বাড়িতে দুটি পোষ্য রয়েছে, আমরা চলে গেলে ওদের দেখারও কেউ নেই। তাই বাড়িতে সারাবছর যে দিদিরা আমাদের সাহায্য করেন, তাঁদের অনুরোধ করেছি যদি একটু সাহায্য করেন এবারও। তাহলেই আমরা গ্রামের বাড়িতে কর্তব্য পালন করে আসতে পারব।’
কিন্তু চারিদিকের এই যে উত্তাল পরিস্থিতি তার মধ্যে অভিনেত্রীর মন অশান্ত। তাই এবার দেবীর কাছে রূপাঞ্জনার প্রার্থনা, তিনি যেন সব মেয়েদের শক্তি দেয়। মনুষ্যত্বের যেন জয় হয়। রূপাঞ্জনার মতে, ‘একটা কথা বলতে পারি, বাইরের জামা যতই বদলাই আর ভিতরটা যদি না পাল্টাই, ভালো কিছুই হবে না। চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। থামলে🌄 চলবে না।’
আরও পড়ুন: ‘ঝড় বইছে, সুনামিও🌠 আসবে…’, পঞ্চমীর দিন আবহাওয়ার একী আপডেট দিলেন সৃজিত🧜 মুখোপাধ্যায়!
তবে কেবল রূপ✃াঞ্জনা নয়, এই সব ঘটনায় ভারাক্রান্ত রাতুলও, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘চারপাশে নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেছে। সে সবের বিচার না পেলে আলাদা করে আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না।’
তবে তাঁর মধ্যেও পুজোয় কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা না করলেই নয়। তাঁরা হলেন রাতুলের বন্ধুরা। যাঁরা বাইরে থাকেন, পুজোর এই কটা দিনের জন্য বাড়ি ফেরেন। তাঁদের কিছুটা সময় দেবেন রাতুল। এ প্রসঙ্গে প🔯রিচালক বলেন, ‘বন্ধুদেরও প্রয়োজন মনের কথা ভাগ করার জন্য। তাই ওদের সঙ্গেই কাটাব যতটা পারি।’ এ ছাড়াও রূপাঞ্জনাদের ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ৭৫ বছরের দুর্গাপুজো। সেখানে যাবেন রাতুল। তাঁরও দেবীর কাছে একটাই প্রার্থনা, ‘আমাদের চারপাশে অসুরদের যাতে দ্রুত বিনাশ হয় ততই ভালো।’