বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় দু'জনকে ꧙গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তিকেಌ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এবিষয়ে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মী গৌতম সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, অভিযুক্তরা মোট পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। পরে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইও এই ঘট🐎না প্রসঙ্গে ফেসবুকে লেখেন। ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামে দুই অভিযুক্তকে গুজরাটের ভুজ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১) বিহারের বাসিন্দা। সোমবার গভীর রাতে গুজরাটের কচ্ছ জেলার মাতা নো মাধ গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশের দাবি ছিল, এই গুলি চালনার🌳 ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারীকে সনাক্ত করার জন্য ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। জানা যাচ্ছে, এই হামলার আগে প্রাথমিকভাবে তাঁরা এরআগে তিনবার বাড়ির 'রেকি' (ঘটনাস্থল আগে থেকে ঘুরে দেখা) করেছিলেন। তবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করলেও আদালত তাঁদের ৯ দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেয়। পুলিশ হামলাকারীদের ব্যবহৃত মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং গুলি চালানোর পিছনে তাঁদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
১৪ඣ এপ্রিল রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে গুলি জালায় দুই দুষ্কৃতি। গুলি চলার সময় সলমন ও তাঁপ মা-বাবা এবং বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানান যায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই দায়য় স্বী🌞কার করে আনমোল বিষ্ণোই বলেন, ‘সলমন খান, আমাদের হালকাভাবে নেবেন না। এটাই প্রথম ও শেষ সতর্কবাণী। এরপর আপনার বাড়ির ভিতরে গুলไি চলবে।’
তদন্ত কী উঠে এসেছে?
- তদন্তে উঠে এসেছে, অভিনেতার ফার্ম হাউস ও বান্দ্রার বাড়ি রেইকি করার জন্য পানভেলে একটা ঘর এক মাস ধরে ভাড়া নিয়েছিল বন্দুকবাজরা।
- ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পানভেলের এক বাসিন্দার কাছ থেকে ২০,০০০ টাকায় একটি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনেছিলেন তাঁরা।
- প্রথম মালিকের নামে বাইকটি রেজিস্ট্রেশন থাকায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ আসল মালিক এবং যে দালাল বন্দুকবাজদের বাড়ি ভাড়া দিতে সাহায্য করেছিল তার সন্ধান পায় এবং সোমবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
- সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে পাঁচ-ছ'রাউন্ড গুলি চালানোর পর মোটরবাইকটি মাউন্ট মেরি রোডে ফেলে পালিয়ে যায় বন্দুকবাজরা।
- সেখান থেকে অটো নিয়ে বান্দ্রা স্টেশনে গিয়ে লোকাল ট্রেনে চেপে সান্তাক্রুজে নেমে পড়েন তাঁরা।
- সান্তাক্রুজ ইস্টের স্টেশন থেকে বের হয়ে তাঁরা কালিনার দিকে হাঁটা দেয়। এরপরে তাঁদের গতিবিধি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। তবে ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের সন্দেহ যে অভিযুক্তরা বিমানবন্দরে পৌঁছে ছিল।
- পরে পুলিশের একটি দল মীরা রোডে তাদের শেষ লোকেশন খুঁজে পেলেও CCTV ক্যামেরায় দুজনের কোনোও সন্ধান পাওয়া যায়নি।