সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভের জেরে অশান্ত গোটা দেশ। সেই প্রভাব বলিউডের বক্স অফিসেও। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের দাবাং থ্রি। প্রথম দুদিনে বক্স অফিসে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেলেন চুলবুল পাণ্ডে। প্রথম দিন সলমন খানের দাবাংয়ের কালেকশন ছিল ২৪.৫০ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দিন প্রভু দেবা পরিচালিত ছবি আয় করে নিয়েছে ২২ কোটি টাকা। শুক্রবার-শনিবার মিলিয়ে দেশের বক্স অফিসে দাবাং থ্রি-র কালেকশন ৪৬.৫০ কোটি টাকা। রিপোর্ট বলছে, হিন্দি বলয় জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ না চললে দাবাং থ্রি-র প্রথম দুদিনের কালেকশন আনায়াসে ৫৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত। তাই কমপক্ষে দশ কোটি টাকার লোকসান উঠাতে হচ্ছে প্রযোজক সলমন খানকে।দাবাং থ্রির ব্যবসা যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে প্রভাবিত হচ্ছে তা টুইট করে স্পষ্টতই জানিয়েছেন ট্রেড বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শও। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, সলমন খানের ছবি প্রথম দিন বক্স অফিসে কেমন ব্যবসা করেছে গত ন' বছর ধরে। অর্থাত্ ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বক্স অফিসে প্রথম দিনের বিচারে সলমন বনাম সলমনের লড়াইটা ঠিক কেমন?রিপোর্ট বলছে প্রথম দিন আয়ের নিরিখে সলমনের ছবি হিসাবে প্রথম তিনে রয়েছে ভারত (৪২.৩০ কোটি টাকা), প্রেম রতন ধন পায়ো (৪০.৩৫ কোটি টাকা) এবং সুলতান (৩৬.৫৪ কোটি টাকা)। এই তালিকা দেখতে বলতেই হয় দাবাং থ্রি-র ব্যবসা বেশ হতাশাজনক। রবিবারও ছবির বক্স অফিস নম্বরে খুব বেশি হেরফের হবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তিন দিনে ১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখানো সম্ভব টিম দাবাং থ্রি-র পক্ষে।দাবাং ফ্রাঞ্চাইসির তিন নম্বর ছবিতে ফুটে ওঠেছে গরিবের রবিনহুড পাণ্ডে কীভাবে দাবাং পুলিশ অফিসার চুলবুল পাণ্ডে হলে ওঠলেন। এই ছবিতে সোনাক্ষী সিনহা তো রয়েইছেন পাশাপাশি যুবক পাণ্ডেজি'র প্রেম খুশির ভূমিকায় দেখা মিলেছে নবাগত সাই মাঞ্জরেকরের। এই ছবির অন্যতম চমক হিসাবে রয়েছেন কন্নড় ছবির সুপারস্টার সুদীপ, যিনি মাক্ষীর সৌজন্যে গোটা দেশেই বেশ জনপ্রিয়। প্রয়াত অভিনেতা বিনোদ খান্নার জায়গায় এই ছবিতে চুলবুল পাণ্ডে এবং মক্ষী পাণ্ডের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিনোদ খান্নার ভাই প্রমোদ খান্না।