করোনার কারণে আপাতত লকডাউন মহারাষ্ট্রে। বন্ধ রয়েছে ছবির শ্যুটিং। যার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে টেকনিশিয়ান, স্টান্টম্যান, মেকআপ আর্টিস্ট, স্পটবয়রা। যারা মূলত প্রতিদিন চুক্তিতে কাজ করে থাকেন। এবারে ইন্ডাস্ট্রির সেই সহ-কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন সলমন খান। ২৫ হাজার কর্মীকে ১৫০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য করতে চলেছেন সলমন।ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজ-এর সম্পাদক বি এন তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা যে সমস্ত কর্মী অর্থিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের একটা তালিকা সলমন খানকে পাঠিয়েছিলাম। সলমন টাকা পাঠাতে রাজি হয়েছেন।’ জানা গিয়েছে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫০০ টাকা করে পাঠাবেন তিনি। প্রত্যেক মাসেই তিনি সেই টাকা পাঠাবেন। শুধু ইন্ডাস্ট্রির মানুষদেরই নয়, করোনার লড়াইয়ে যারা প্রথম সারিতে থেকে কাজ করছেন তাঁদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ারও দায়িত্ব নিয়েছেন সলমন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশদের রোজ খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি ও তাঁর সংস্থা। চালু করা হয়েছে একটি হেল্প লাইন নম্বরও। যাতে কেউ ফোন না পেলে সোজাসুজি সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজের তরফে ‘যশ রাজ’ ফিল্মসের অফিসে ৩৫ হাজার সিনিয়র সিটিজেন শিল্পীর নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। ওই প্রযোজনা সংস্থার তরফেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৪ জনের পরিবারকে মাসিক ৫০০০ টাকা এবং রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ‘যশরাজ স্টুডিও’। সোজাসুজি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে তাঁদের পাঠানো আর্থিক সাহায্য। বৃহস্পতিবার জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকেও দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের রাস্তায় আর্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে। ‘মুম্বই রোটি ব্যাঙ্ক’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজে সামিল হয়েছেন অভিনেত্রীর এনজিও YOLO।