জি বাংলা সারেগামাপা-র সুবাদে লাইমলাইটে উঠে আসেন কালিম্পং-এর টুরিস্ট গাইড অ্যালবার্ট কাবো লেপচা। বিজয়ীর ট্রফি হাতে না উঠলেও গোটা বাংলার মন জিতেছিলেন গায়ক। এবার জাতীয় স্তরে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করছেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে রয়েছে একরত্তি মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণা। আরও পড়ুন- হারিয়েছেন ছোট্ট🅰 মেয়েকে! সারেগামাপা-র মঞ্চে ফের বিয়ে দেওয়া হল অ্যালবার্ট কাবো-র, কে পাত্রী?
গত জুলাই মাসে আট মাসের শিশুকন্যাকে হারান কাবো ও তাঁর স্ত্রী পূজা ছেত্রী। মেয়ের মৃত্যুর পর অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাঁদের। এভিলিনের মৃত্যুতে শোকে পাথর তাঁর বাবা-মা। কিন্তু চলার নামই জীবন। তাই সেই শোক বুকে চেপে মায়ানগরীতে নতুন লড়াই লড়ছেন স্বামী-স্ত্রী। বুধবার ২৭শে সেপ্টেম্বর ছিল এভিলিনের প্রথম জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে এইদিন তাঁ♊র বয়স হত এক বছর। এই বিশেষ দিনে আবেগ বাঁধ মানল না কাবোর।
মাত্র ৮ মাসেই অ্যালবার্ট আর পূজার জীবনকে অফুরান খুশি আর আনন্দে মুড়ে রেখেছিল এভিলিন। সেই মিষ্টি মুহূর্তের কোলাজ একটি নেপালি গানের সঙ্গে জুড়ে দেন অ্যালবার্ট। সঙ্গে বার্তা, ‘তুই যেখানেই থাকিস আনন্দে থাকিস এভিলিন।♎ আমরꦉা আজ যেখানে পৌঁছেছি সেটা তোর জন্য। তোর উপস্থিতি আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আর্শীবাদ ভগবানের তরফে। আজ তোকে খুব মিস করছি। শুভ জন্মদিন আমাদের ছোট্ট রাজকুমারী, এভিলিন। শান্তিতে ঘুমাস’।
জন্মের পর থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল এভিলিনের, চিকিৎসা করিয়েও সুফল মেলেনি। এভিলিনের চলে যাওয়ার ধাক্কা এখনও সামলে উঠেননি দম্পতি, তবুও জীবন বয়ে চলেছে নিজের ছন্দে। মেয়ের মৃত্যু সম্পর্কে বলতে গিয়ে সারেগামাপা-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাবো ঘরণী বলেন, ‘দোলানা থেকে বাচ্চাকে তোলার পর একটু কেমন নীলচে দেখাচ্ছিল ওকে, দ্রুত ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন পরীক্ষার পর🌳 চিকিৎসক জানালেন বাচ্চার হার্টে ছিদ্র রয়েছে, সেটা বেশ বড়। এরপর ওকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। আমাদের ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করার কথা জানানো হয়। এরপর ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়া হয়, একটু নড়াচড়া করছিল শরীর, তারপর সব শেষ…. আর কী তারপর ওর লাশ ঘরে নিয়ে ফিরলাম…’। গলা বুজে আসে পূজার।
জীবনের এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই সারেগামাপা-র মঞ্চে ফিরেছেন কাবো। সবটাই সম্ভবপর হয়েছে এভিলিনের জন্য আর পূজার জন্য। স্বামীকে🌼 সারাক্ষণ আগলে রেখেছেন পূজা। সারেগামাপা-র মঞ্চে শীঘ্রই সাত পাকে বাঁধা পড়তে দেখা যাবে তাঁদের। তাও আবার সূরজ বরজাতিয়ার উপস্থিতিতে। ইতিমধ্যেই জি লেবেল থেকে মুক্তি পেয়েছে কাবোর প্রথম গান ‘মেরে সোরেয়াঁ’। সন্তানের মৃত্যুশোক ভোলার নয়, সেটা চেপেই এগিয়ে চলে♏ছেন কাবো।