মালদার ১৪ বছরের বিস্ময় বালিকা রাফা ইয়াসমিন। জি টিভি সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসের মঞ্চ কাঁপিয়েছ♔েন রাফা। কুড়িয়েছেন অজস্র প্রশংসা। শুধু বাংলা নয়, ভারতের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাফার অনুরাগী। অথচ খোদ বাংলার মুখে চরম দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হল তাঁকে।
বুধবার ভোররাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের কামরায় সর্বস্ব খোয়ালেন গায়িকা। অথচ রেল পুলিশের কোন সহ🌺যোগিতা পায়নি বলেই অভিযোগ। বাবা-মা'র সঙ্গে মালদা থেকে কলকাতা আসছিলেন ১৪ বছর বয়সী গায়িকা। রাত ২টো-র পর ঘুমিয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। ভোর ৬টা নাগাদ ঘুম ভাঙলে রাফার মা- দেখেন মাথার কাছে রাখা হ্যান্ডব্যাগ গায়েব। সেই ব্য়াগে বাড়ির চাবি থেকে শুরু করে এটিএম কার্ড, টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন এবং জরুরি নথিপত্র ছিল।
প্রথম শ্রেণীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় এমন চুরির ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব গায়িকা। ঘটনাটি ঘটেছে ডাউন রাধিকাপ🍒ুর -চিৎপুরﷺ গামী এক্সপ্রেস ট্রেনে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ কর্তব্যরত আরপিএফ এবং টিটির দেখা পায়নি রাফার পরিবার। এরপর পরিচিত এক পুলিশকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পর নড়েচড়ে বসে জিআরপি। চিৎপুর স্টেশনে নেমে সংশ্লিষ্ট জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গায়িকার বাবা রাজ্জাক হোসেন।
&nb♍sp;ফেসবুকে ভিডিয়ো পোস্ট করে গোটা ঘটনার বর্ণণা দেন রাফা। তিনি জানান, মঙ্গলবার মালদা টাউন স্টেশন থেকে গভীর রাতে ডাউন রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন তাঁরা তিনজনে। এ – ওয়ান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় তাঁদের আসন ছিল ১৮, ৩৪ এবং ৩৬ । রাফার বাবার অভিযোগ, ‘এই ঘটনার💙 পর রেলের এমার্জেন্সি নম্বর এবং রেল পুলিশকেও ফোন করে পাইনি। তাদের কোন সহযোগিতা মেলেনি।’
এই ঘটনাꦕ ফের একবার ট্রেনের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রাফার মা তানিয়া হোসেনের অভিযোগ, ‘দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এই ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। রেল পুলিশের সহযোগিতার চেয়েছꦦি, কেউ এগিয়ে আসে নি’।
দু🎶-দিন আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতꦕি এখনও তরতাজা। ভারতীয় রেলে জান-মালের নিরাপত্তা যেন দিনদিন অলীক কল্পনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, বলছেন নেটিজেনরা।
স্টার জলসার সুপার সিঙ্গার জুনিয়ার (২০১৯)-এর হাত ধরে রাফার উত্থান। পরে জাতীয় টেলিভিশনে রাফার সুরের ম্যাজিকে মুগ্ধ হয়েছেন অনু মালিক, শঙ্কর মহাদেবনরা। মাস কয়েক আগে অরিজিৎ সিং-কে ‘গড অফ মিউজিক’ বলায় রোষের মুখে পড়েছিলেন রাফা। ছোট থেকেই গান গওয়ায় নানান ফতেয়ার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন বাবা-মা। তাই ফতেয়া উপেক্ষা করেই গান গেয়ে চলেছে রাফা, শুভবুদ্ধিসম্পন෴্ন মানুষরা সবসময় পাশে রয়েছে মালদার এই মিউজিক্যাল ক🅘ন্যের।