১৬ বছর আগের ঘটনা। সারেগামাপা-র অডিশন দিয়েছিল সানিয়া 🍌দে-র মা। তবে সেবার তাঁর শিকে ছেঁড়েনি সারেগামাপা-র মঞ্চ। তবে সেবার তিনি হেরে গেলেও মায়ের ইচ্ছে ছিল তাঁর মেয়ে একদিন এই মঞ্চ মাতাবে। আর এবার ২০২৪-এ সারেগামাপা-র মঞ্চে তেমনটাই ঘটেছে। এবার সারেগামাপা-র মঞ্চে গাইছেন সানিয়া দে।
সম্প্রতি আবির চট্টাপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তায় উঠে এসেছে স🌠েই গল্পই। মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিযোগী সানিয়ার সামনেই তাঁর মায়ের সঙ্গে আলাপ করেন আবির। সানিয়ার সামনেই আবির বলেন, ‘একদিন সারেগামাপা-র জন্য অডিশন দিয়েছিলেন সানিয়ার মা, তবে যে কোনও কারণেই তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এরপরই সানিয়াকেই প্রশ্ন করেন ‘তোমার মা কি আজ এখানে আছেন?’ উত্তর হ্যাঁ, আসতেই আবির কথা বলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে। আবির তাঁর মাকে প্রশ্ন করেন, ‘আজ মেয়ে এত ভালো পারফর্ম করলো, সকলে এত প্রশংসা করছেন, কেমন লাগছে?’
সানিয়ার মা জান🅰ান, ‘খুব ভালো লেগেছে। এটা আমার কাছে একটা বিশাল পাওয়া, যে সানিয়া এই মঞ্চে গেয়েছে। আমি আমার স্বপ্নটা ওর মধ্যে দিয়েই পূরণ করছি। খুব খুশি।’
আবির ফের তাঁকে বলেন, ‘আপনি যখন এখানে এসেছিলেন, তখন আপনার বাড়ির লোকের থেকেই জেনেছিলাম, কিছুটা অভিমানে হারমোনিয়াম তুলে রেখেছিলেন, তাতে ধুলো পড়ে গিয়েছিল, সেই ধুলো কি মোছা হয়েছে।’ উত্তরে সানিয়ার মা জাননা, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, এখন নিয়ে বসছি। মেয়ে যদি গায়, আমিও গাইব তার সঙ্গে।’ এমন কথা শুনে সকলেই তখন আবেহে ভেসে হা🌟ততালি দিতে 𒐪শুরু করেন।
আরও 🍌পড়ুন-🍌অসুস্থ নীলাঞ্জনা, হাসপাতালে ভর্তি করা হল যিশু পত্নীকে, এখন কেমন আছেন?
সম্প্রতি সানিয়ার হাত ধরেই সারেগামাপা-র মূল মঞ্চে গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন তাঁর মা। সেদিন সানিয়া গোল্ডেন গিটার পাওয়ার পর কৌশিকির ইচ্ছেতে দু-কলি গেয়ে শোনালেন তিনি। ‘তুঝসে নারাজ নেহি হ্যায়রান হুঁ ম🌠🌺্যায়’ গেয়ে নিজের মনের ভাবনাই ব্যক্ত করেন সানিয়ার গর্বিত মা। তখন তাঁর গান শুনে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত জানান, ‘আর জীবনের উপর রাগ করে লাভ নেই, এনজয় করুন’।
সেদিন সানিয়া মায়ের গান শুনে চোখের জল মুছতে দেখা যায় অন্তরা মিত্রককে। সেদিনও সঞ্চালক আবিরের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেব, ‘আমি নিজে সেরকম একজন মেয়ে… বাবা মছলন্দপ🐭ুরে মাস্টারমশাই নামে পরিচিত। এখনও ওঁনার গানের ক্লাস চলে। আমি আসলে আমি আমার বাবার স্বপ্নটা বাঁচছি, তাই আমি সানিয়ার সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছিলাম।’