ছবিতে অভিনয় থেকে টেলিভিশনে 🅺সঞ্চালনা সবেতেই প্রতিষ্ঠিত সিমি গারেওয়াল। রবি মোহনের সঙ্গে এককালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। স্বামীকে আভিজাত পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের পরিচয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। এক দশকের বেশি সময় সংসার করেছিলেন তাঁরা। এরপর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। আইনি মতে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
যদিও বিবাহবিচ্ছꦉেদ নিয়ে কোনও আফসোস নেই সিমির মনে। তবে পুরনো এক সাক্ষাৎকারে তিনি ফাঁস করেছিলেন, সন্তান না হওয়ার আফসোস রয়েছে তাঁর। ২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, এক কন্যা সন্তানকে তিনি দত🐻্তক নিতে যাবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি তাঁর।
সিমির কথায়, এক সময় এক কন্যা সন্তানকে দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। অনাথ আশ্রমে গিয়ে বিজয়া নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। যাঁর মা-বাবা তাঁকে রেলস্টেশনে ফেল রেখে চলে যায়। অনাথ আশ্রমের নিয়ম অনুয༒ায়ী, দত্তক নেওয়ার আগে সেই শিশুর ছবি সংবাদপত্রে দিতে হয়। এরপর তিন মাসের অপেক্ষা। যদি সেই শিশুর আসল মা-বাবা ফিরে আসে খোঁজ পেয়ে। নইলে তাঁকে দত্তক নেওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, কথা মতোই কাজ। সংবাদপত্রে ছবি দেওয়ার দুই মাস পর শিশুটির মা-বাবার কোনও খোঁজ মেলেনি। 🐈কিন্তু যখনই মেয়েটিকে 🔜দত্তক নেওয়ার সময় এসছে, সেই মুহূর্তে তাঁর প্রকৃত মা-বাবা এসে হাজির হয়। এটা সিমির কাছে হৃদয় ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। যদিও অভিনেত্রীর কথায়, সেই সময় দেব আনন্দের শব্দ তাঁর কাজে এসেছিল।
সিমি বলেন, 🉐‘সে সব সময় বলত- আমি আমার দুঃখকে কখনও আমার সঙ্গে বহন করিনা। সেগুলোকে আমার পকেটে রেখে এগিয়ে চলি’। তিনি তার কথা থেকে শক্তি গ্রহণ করেন এবং জীবনে এগিয়ে যান।
রাজ কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’, সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি', মৃণাল সেনের ‘পদাতিক’, ‘চলতে চলতে’, ‘কভি কভি’, ‘কর্জ’, ‘নসিব’ সিমির অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি। আড়াই দশকের কেরিয়ারে অভ𝐆িনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি ছবিতে। ‘ইটস এ উম্যানস 𝐆ওয়ার্ল্ড’, ‘লিভিং লেজেন্ড রাজ কাপুর:, ‘ইন্ডিয়াস রাজীব’, ‘ইন্ডিয়াস মোস্ট ডিজায়ারেবল’— সিমির প্রযোজনার কয়েকটি শো। মূল আকর্ষণ ছিল সিমির সঞ্চালনা। টেলিভিশন থেকে বিরতি নেওয়ার পর, সিমি সিলেক্টস ইন্ডিয়া’স মোস্ট ডিজায়ারেবল নিয়ে ফিরে আসেন।